বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর সম্পর্কে সোমবার (১০ নভেম্বর) রাত থেকে বিভিন্ন সংবাদ ছড়িয়ে পড়ছে। অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে গতরাতে খবর পৌঁছায়—ধর্মেন্দ্র মারা গেছেন! যা কিছু সংবাদমাধ্যমে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) প্রকাশ পেয়েছে, তা সম্পূর্ণ সত্য নয় বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে এশা দেওল। আজ ভোরে সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি বিবৃতিতে তার বাবা ধর্মেন্দ্রর শারীরিক পরিস্থিতির কথা জানিয়ে বলেন, যে খবরটি ছড়িয়ে পড়েছে, তা সঠিক নয়। ভারতের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এশা দেওল লিখেছেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে আমার বাবার স্বাস্থ্যের বিষয়ে নানা রকম ভুল তথ্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল। সকলের কাছে অনুরোধ করব, আমাদের পরিবারের গোপনীয়তা সম্মান করুন। বাবা দ্রুত সুস্থতা লাভ করুন।’ উল্লেখ্য, ধর্মেন্দ্রর জন্ম ১৯৩৫ সালের ৮ ডিসেম্বর পাঞ্জাবের নসরালি গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই সিনেমার প্রতি তার গভীর আগ্রহ ছিল। পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তরুণ বয়সে ভারতীয় রেলে কেরানি হিসেবে চাকরি নেন—তার বয়স তখন মাত্র ১৯ বছর। এরপর প্রথম বিয়ে হয় প্রকাশ কৌরের সঙ্গে। তখন বুঝতে পারেন, রেলের চাকরিতে তার মন বসছে না। সিনেমার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। স্বপ্নের বাস্তবায়নের জন্য পাড়ি জমান মুম্বাইয়ে। সেখানে ভাগ্য তার জন্য সহজ হয় না। একের পর এক অডিশন দিতে থাকেন। ১৯৬০ সালে ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরা’ সিনেমায় প্রথম সুযোগ পান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ‘শোলে’, ‘ছুপকে ছুপকে’, ‘ধরমবীর’, ‘ফুল অউর পাথর’, ‘সত্যকাম’, ‘রাজা জানি’, ‘রাখওয়ালা’ প্রভৃতি বেশ কিছু সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়ে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন।