সৌদি আরবের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন ভঙ্গের কারণে ২৫ হাজারের বেশি বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে প্রকাশিত হয় যে, ১৩ মার্চ থেকে ১৯ মার্চের মধ্যে দেশটির বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৫ হাজার ১৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। এসব গ্রেপ্তার দেশের নিরাপত্তা অভিযানের অংশ হিসেবে করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১৭ হাজার ৮৮৬ জন আবাসন আইন, ৪ হাজার ২৪৭ জন সীমান্ত নিরাপত্তা আইন এবং ৩ হাজার ১৭ জন শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী এবং সরকারি সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টায় এসব গ্রেপ্তার হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে যে, অবৈধভাবে সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় ১ হাজার ৫৫৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে ইথিওপিয়ান নাগরিক ৬৯ শতাংশ, ইয়েমেনি ২৮ শতাংশ এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকরা রয়েছেন। একই সময়, অবৈধভাবে দেশ ত্যাগের চেষ্টা করায় ৬৩ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছে এবং আবাসন ও কর্ম বিধি লঙ্ঘন করার জন্য সৌদিতে থাকা ৩৬ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশের প্রায় ৩৮ হাজার ৬১ বিদেশির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে, যার মধ্যে ৩৫ হাজার ৭৯৫ জন পুরুষ এবং ২ হাজার ২২৬ জন নারী। গ্রেপ্তার হওয়া ৩০ হাজার ৫২৮ জনকে দেশে ফেরার জন্য প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে এবং ২ হাজার ৪২০ জনের ফেরত যাওয়ার ব্যবস্থা চূড়ান্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ১২ হাজার ৮ জনকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সৌদি আরবে অবৈধ প্রবেশে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে ১৫ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা হতে পারে এবং সুপ্রিম কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বারবার সতর্কতা জারি করছে। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষ বসবাস করে এবং সেখানে লাখ লাখ বিদেশি কর্মী কাজ করছেন। সৌদি আরবের মিডিয়া নিয়মিতভাবে আইন লঙ্ঘনকারী ও অবৈধ প্রবাসীদের আটক করার তথ্য প্রকাশ করে।