খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে সুখবর দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৯৩
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলেন তামিম ইকবাল
নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া
মসজিদে বিয়ে ও সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া
দেশে বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
ইসরায়েলি হামলার গাজায় নিহত ৭০ হাজারের বেশি
খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
চীনের পণ্যে ১৩০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা ট্রাম্পের
- আপডেট সময় ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
- / ২২ বার পড়া হয়েছে
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের পণ্যের উপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন, যা আগের ৩০ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে যোগ হয়ে মোট ১৩০ শতাংশ হবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ১ নভেম্বর বা তার আগে। কিছু মাসের শান্তিপূর্ণ বাণিজ্য বিরতির পর এটি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের নতুন অধ্যায় সূচনা করল। ট্রাম্প শুক্রবার বিকেলে তাঁর সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, “আমেরিকা চীনের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক দেবে। পাশাপাশি, ১ নভেম্বর থেকে সব গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার রপ্তানির উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে।” সম্প্রতি বেইজিং দুষ্প্রাপ্য খনিজ পদার্থের রপ্তানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ চালু করেছে, যা মোবাইল, কম্পিউটারসহ নানা ইলেকট্রনিক পণ্যের জন্য অপরিহার্য। এর জবাবে ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই কারণে তিনি চলতি মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিন পিং-এর সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠকও বাতিল করেছেন। ট্রাম্পের ঘোষণা শুনে শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিটে বড় ধরনের দরপতন হয়। ডাউ জোন্স সূচক ৮৭৮ পয়েন্ট (১.৯%) কমে যায়, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ২.৭% হ্রাস পায়, আর নাসডাক সূচক ৩.৫% পড়ে যায়। বিনিয়োগকারীরা ভয় পেয়ে থাকেন, গত বসন্তের মতো আবারও মার্কিন বাজারে বড় ধাক্কা লাগতে পারে। বিশ্বে দুই বৃহৎ অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একে অপরের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
যদিও সম্প্রতি চীন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে মেক্সিকোকে পেছনে ফেলেছে, তবুও আমেরিকা এখনও শত শত বিলিয়ন ডলারের পণ্য চীন থেকে আমদানি করে। অন্যদিকে, চীনও আমেরিকাকে অন্যতম বড় রপ্তানি বাজার হিসেবে দেখে। ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর উৎপাদন আমেরিকায় বাড়ানোর জন্য উৎসাহ দিচ্ছেন। তবে ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে মার্কিন কারখানায় বড় বিনিয়োগ ঘোষণা করায়, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ট্রাম্প কিছুটা নমনীয় অবস্থান নিয়েছিলেন। এ বছরের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসন চীনের পণ্যে সর্বনিম্ন ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল, যা এক ধরনের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার মতো। পরে ইলেকট্রনিকস পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়, যাতে দেশীয় বাজারে চাপ কমে। মে মাসে দুই দেশই শুল্ক কিছুটা কমায়— চীন মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক ১২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামায়, আর যুক্তরাষ্ট্র ১৪৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে নামায়। এর ফলে উভয় দেশের শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। ট্রাম্প দাবি করেন, চীনের ‘বাণিজ্যিক শত্রুতামূলক আচরণ হঠাৎ করে শুরু হয়েছে’। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর পেছনে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর প্রযুক্তি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়, যার মধ্যে এনভিডিয়ার এআই চিপের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ছিল। পরে কিছু সীমাবদ্ধতা শিথিল করা হয়। এরপর ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দেয়, চীনা মালিকানাধীন জাহাজে পরিবহনকৃত পণ্যের ওপর ফি আরোপ করা হবে। চীনও পাল্টা ব্যবস্থা নেয়, যা শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি ও ভোক্তা ব্যয় বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি করবে।
অতিরিক্তভাবে, আগামী মাসে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে শুরু হতে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় ট্রাম্পের এককভাবে শুল্ক আরোপের ক্ষমতাকে সীমিত করতে পারে। অন্যদিকে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিন পিং-এর হাতে এমন কোনো বাধা নেই — ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র: সিএনএন
প্রিন্ট














