, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

নাইজেরিয়ায় সামরিক পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নাইজেরিয়ায় খ্রিস্টানদের ওপর চলমান সহিংসতা রোধে দেশটি যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না—এমন অভিযোগে তিনি প্রতিরক্ষা দপ্তরকে (পেন্টাগন) দ্রুত সামরিক উদ্যোগের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় ট্রাম্প উল্লেখ করেন, নাইজেরিয়ায় ‘খ্রিস্টানদের গণহত্যা’ চলছে এবং যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র ‘তাৎক্ষণিকভাবে সব ধরনের সহায়তা বন্ধ করে দেবে’। দীর্ঘ বার্তায় তিনি আরও বলেন, সম্ভবত ‘গানস-আ-ব্লেজিং’ (অস্ত্র হাতে) নাইজেরিয়ায় প্রবেশ করে ইসলামি জঙ্গিদের দমন করবে, যারা এই নির্মমতা চালাচ্ছে। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘আমি আমাদের প্রতিরক্ষা বিভাগকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিচ্ছি। যদি আমরা আঘাত করি, তা হবে দ্রুত, ভয়ঙ্কর ও কার্যকর—যেমনটি সন্ত্রাসীরা আমাদের প্রিয় খ্রিস্টানদের উপর আক্রমণ করে।’ এর কিছুক্ষণ পর, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে লিখেছেন, ‘জি স্যার।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘নাইজেরিয়ায় নিরীহ খ্রিস্টান হত্যাযজ্ঞ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। যদি নাইজেরিয়া তাদের সুরক্ষা না দেয়, তবে আমরা সন্ত্রাসীদের নির্মূল করব।’ শুক্রবার ট্রাম্প নাইজেরিয়াকে ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনকারী দেশ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে একে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের অধীনে ‘কান্ট্রি অব পার্টিকুলার কনসার্ন’ ঘোষণা করেন। তাঁর দাবি, নাইজেরিয়ায় খ্রিস্টানদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে এবং দেশটি ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় ব্যর্থ। অন্যদিকে, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই মূল্যায়ন নাইজেরিয়ার বাস্তবতা প্রতিফলিত করে না। তিনি বলেন, তাঁর সরকার সকল ধর্মের মানুষের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং মার্কিন ও আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। টিনুবুর প্রেসসচিব বায়ো অনানুগা মার্কো রুবিওর মন্তব্যের জবাবে বলেন, ‘নাইজেরিয়ায় কেবল খ্রিস্টান নয়, মুসলিম, চার্চ ও মসজিদও নির্বিচারে আক্রমণের শিকার হচ্ছে। আমাদের দেশকে “ধর্মীয় উদ্বেগের রাষ্ট্র” হিসেবে ঘোষণা করার পরিবর্তে, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা প্রয়োজন যাতে আমরা উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে কার্যকরী প্রতিরোধ গড়তে পারি।’ হোয়াইট হাউস ও নাইজেরিয়ার সরকারের দপ্তর এ বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। সূত্র: সিএনএন


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

নাইজেরিয়ায় সামরিক পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প

আপডেট সময় ০৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নাইজেরিয়ায় খ্রিস্টানদের ওপর চলমান সহিংসতা রোধে দেশটি যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না—এমন অভিযোগে তিনি প্রতিরক্ষা দপ্তরকে (পেন্টাগন) দ্রুত সামরিক উদ্যোগের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় ট্রাম্প উল্লেখ করেন, নাইজেরিয়ায় ‘খ্রিস্টানদের গণহত্যা’ চলছে এবং যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র ‘তাৎক্ষণিকভাবে সব ধরনের সহায়তা বন্ধ করে দেবে’। দীর্ঘ বার্তায় তিনি আরও বলেন, সম্ভবত ‘গানস-আ-ব্লেজিং’ (অস্ত্র হাতে) নাইজেরিয়ায় প্রবেশ করে ইসলামি জঙ্গিদের দমন করবে, যারা এই নির্মমতা চালাচ্ছে। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘আমি আমাদের প্রতিরক্ষা বিভাগকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিচ্ছি। যদি আমরা আঘাত করি, তা হবে দ্রুত, ভয়ঙ্কর ও কার্যকর—যেমনটি সন্ত্রাসীরা আমাদের প্রিয় খ্রিস্টানদের উপর আক্রমণ করে।’ এর কিছুক্ষণ পর, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে লিখেছেন, ‘জি স্যার।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘নাইজেরিয়ায় নিরীহ খ্রিস্টান হত্যাযজ্ঞ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। যদি নাইজেরিয়া তাদের সুরক্ষা না দেয়, তবে আমরা সন্ত্রাসীদের নির্মূল করব।’ শুক্রবার ট্রাম্প নাইজেরিয়াকে ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনকারী দেশ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে একে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের অধীনে ‘কান্ট্রি অব পার্টিকুলার কনসার্ন’ ঘোষণা করেন। তাঁর দাবি, নাইজেরিয়ায় খ্রিস্টানদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে এবং দেশটি ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় ব্যর্থ। অন্যদিকে, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই মূল্যায়ন নাইজেরিয়ার বাস্তবতা প্রতিফলিত করে না। তিনি বলেন, তাঁর সরকার সকল ধর্মের মানুষের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং মার্কিন ও আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। টিনুবুর প্রেসসচিব বায়ো অনানুগা মার্কো রুবিওর মন্তব্যের জবাবে বলেন, ‘নাইজেরিয়ায় কেবল খ্রিস্টান নয়, মুসলিম, চার্চ ও মসজিদও নির্বিচারে আক্রমণের শিকার হচ্ছে। আমাদের দেশকে “ধর্মীয় উদ্বেগের রাষ্ট্র” হিসেবে ঘোষণা করার পরিবর্তে, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা প্রয়োজন যাতে আমরা উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে কার্যকরী প্রতিরোধ গড়তে পারি।’ হোয়াইট হাউস ও নাইজেরিয়ার সরকারের দপ্তর এ বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। সূত্র: সিএনএন


প্রিন্ট