আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের মূল্য আবারও ৪০০০ ডলার নিচে নেমে এসেছে। মার্কিন ডলার শক্তিশালী অবস্থানে থাকায় এবং ডিসেম্বর মাসে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা কমে যাওয়ায় মূল্যবান ধাতুটির চাহিদা কমে গেছে, ফলে এর দাম ধীরে ধীরে পতনশীল। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা কিছুটা কমে যাওয়ার খবরও স্বর্ণের দামে প্রভাব ফেলেছে। রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশি সময় মঙ্গলবার সকাল ১১টা ১ মিনিটে (গ্রীনিচ সময় ৫টা ১ মিনিট) স্বর্ণের মূল্য শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ হ্রাস পেয়ে প্রতি আউন্সে ৩ হাজার ৯৮৪ ডলার ৪৯ সেন্টে পৌঁছেছে। ডিসেম্বরের জন্য মার্কিন গোল্ড ফিউচার্সের দামও শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে ৩ হাজার ৯৯৪ ডলার ৪০ সেন্টে নেমে এসেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, গত তিন মাসে মার্কিন ডলারের মূল্য সর্বোচ্চ স্তরে থাকায় স্বর্ণ অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় আরও বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে, মার্কিন ফেডের রিজার্ভ গত সপ্তাহে সুদের হার কমালেও, ফেডারেল চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল ইঙ্গিত দিয়েছেন যে এ বছরের জন্য আবারও সুদের হার কমানোর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া এখনও সম্ভব নয়। এই মন্তব্যের পর ডিসেম্বরে সুদের হার কমার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ থেকে কমে ৬৫ শতাংশে নেমে এসেছে। সাধারণত সুদের হার কম থাকলে স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পায়, কারণ এর উপর কোনো সুদ বা লভ্যাংশ থাকে না। এই বছর স্বর্ণের দাম প্রায় ৫৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছিল, তবে এখন থেকে তা ৮ শতাংশের বেশি কমে গেছে। বিনিয়োগকারীরা এখন সুদের হারে আসন্ন পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছেন, যার জন্য তারা আগামীকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) প্রকাশিতব্য এডিবি মার্কিন কর্মসংস্থান ডেটা ও অন্যান্য অর্থনৈতিক সূচকের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর মধ্যে স্পট সিলভার, প্ল্যাটিনাম ও প্যালাডিয়ামের দামও এই দিন হ্রাস পেয়েছে। স্পট সিলভার শূন্য দশমিক ১ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে ৪৮ ডলার ৫০ সেন্ট, প্ল্যাটিনাম শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ৫৬১ ডলার ১০ সেন্ট এবং প্যালাডিয়াম ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমে ১ হাজার ৪২২ ডলার ৪৩ সেন্টে লেনদেন হয়েছে।