চীনের রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিং মঙ্গলবার রাশিয়ার সঙ্গে পারস্পরিক বিনিয়োগ বাড়ানো এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, শি বলেছেন, “বহিরাগত অস্থিতিশীলতার মাঝেও চীন-রাশিয়া সম্পর্ক শক্তিশালী এবং স্থিতিশীলভাবে অগ্রসর হচ্ছে।” বেইজিংয়ে শি জিনপিং রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশস্তিনের সঙ্গে গ্রেট হলে অফ দ্য পিপলসে একত্রে সাক্ষাৎ করেন। এর একদিন আগে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং হাংঝুতে মিশস্তিনের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন। শি জিনপিং উল্লেখ করেন, “চীন-রাশিয়া সম্পর্ক রক্ষা, শক্তিশালী করা এবং বিকাশে দুই দেশের কৌশলগত লক্ষ্য রয়েছে।” তিনি শক্তি, কৃষি, মহাকাশ, ডিজিটাল অর্থনীতি ও সবুজ উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। মিশস্তিন বলেন, উভয় পক্ষের জন্য পারস্পরিক বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং যৌথ প্রকল্পে সহায়তা অপরিহার্য। শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে “নো-লিমিটস” অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যখন রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায়। এরপর থেকে রাশিয়া চীনের সঙ্গে ব্যবসা ও শক্তি খাতে সহযোগিতা বাড়িয়ে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কমানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য কমে গেছে। চীনের বড় রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলো মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার রোসনেফট ও লুকঅয়েল থেকে সমুদ্রপথে তেল ক্রয় বন্ধ করে দিয়েছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে উভয় দেশ সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির এবং বহিরাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। রাশিয়া একচেটিয়া চীনের ‘এক চীন নীতি’ অনুসরণ করছে এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করেছে। চীন মনে করে, তাইওয়ান তাদের ভূখণ্ড, যেখানে তাইওয়ানের সরকার দাবি করে যে, শুধুমাত্র তাদের জনগণই দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে। সূত্র: রয়টার্স