, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ১,৫০০টির বেশি ভবন ধ্বংস করেছে ইসরায়েল

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল এখন পর্যন্ত ১,৫০০টিরও বেশি ভবন ধ্বংস করেছে বলে উপগ্রহচিত্রের বিশ্লেষণে জানিয়েছে বিবিসি ভেরিফাই। প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১০ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় বহু ভবন পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। ৮ নভেম্বর পর্যন্ত তোলা উপগ্রহচিত্রে দেখা যায়, এক মাসের কম সময়ের মধ্যে পুরো এলাকা সমতল করে দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করছেন, এই ধ্বংসযজ্ঞ যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘনের এক ধরনের দৃষ্টান্ত। তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) নিশ্চিত করেছে, তারা যুদ্ধবিরতির কাঠামো মেনে এই কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় গঠিত হয়েছিল যুদ্ধবিরতির ভিত্তি, যা ছিল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, সব সামরিক অভিযান, বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ বন্ধ থাকবে। বিবিসি ভেরিফাইয়ের উপগ্রহচিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, যুদ্ধবিরতির পরও ব্যাপকভাবে ভবন ধ্বংসের কাজ চলমান রয়েছে। ‘ইয়েলো লাইনের’ ভিতরে—যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী অবস্থান করছে—সেখানে সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। চিত্রে দেখা যায়, খান ইউনুসের পূর্বাঞ্চল ও রাফাহের পূর্বে আল-বায়ুক এলাকায় বহু ভবন ধ্বংস হয়েছে, যেগুলো আগে ক্ষতিগ্রস্ত ছিল না। ওই এলাকার বাসিন্দা লানা খালিল বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা আমাদের কিছুই রাখেনি, সব কিছু ভেঙে দিয়েছে। এখন আমরা ধ্বংসস্তূপের পাশে তাঁবুতে থাকি।’ আইডিএফ তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী গাজায় সব সন্ত্রাসী অবকাঠামো, টানেল ও অস্ত্র তৈরির কেন্দ্র ধ্বংস করা হবে। তবে সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধবিরতির সময় বেসামরিক সম্পত্তি ধ্বংস আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অধ্যাপক আদিল হক বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির সময় এই ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ কোনোভাবেই প্রয়োজনীয় নয়।’ ইউরোপীয় পররাষ্ট্র পরিষদের সিনিয়র ফেলো হিউ লাভাট সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েল যদি ইয়েলো লাইনের পেছনে অবস্থান দীর্ঘায়িত করে, তাহলে পুরো শান্তি প্রক্রিয়াই ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। সূত্র: বিবিসি


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ১,৫০০টির বেশি ভবন ধ্বংস করেছে ইসরায়েল

আপডেট সময় ০২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল এখন পর্যন্ত ১,৫০০টিরও বেশি ভবন ধ্বংস করেছে বলে উপগ্রহচিত্রের বিশ্লেষণে জানিয়েছে বিবিসি ভেরিফাই। প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১০ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় বহু ভবন পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। ৮ নভেম্বর পর্যন্ত তোলা উপগ্রহচিত্রে দেখা যায়, এক মাসের কম সময়ের মধ্যে পুরো এলাকা সমতল করে দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করছেন, এই ধ্বংসযজ্ঞ যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘনের এক ধরনের দৃষ্টান্ত। তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) নিশ্চিত করেছে, তারা যুদ্ধবিরতির কাঠামো মেনে এই কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় গঠিত হয়েছিল যুদ্ধবিরতির ভিত্তি, যা ছিল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, সব সামরিক অভিযান, বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ বন্ধ থাকবে। বিবিসি ভেরিফাইয়ের উপগ্রহচিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, যুদ্ধবিরতির পরও ব্যাপকভাবে ভবন ধ্বংসের কাজ চলমান রয়েছে। ‘ইয়েলো লাইনের’ ভিতরে—যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী অবস্থান করছে—সেখানে সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। চিত্রে দেখা যায়, খান ইউনুসের পূর্বাঞ্চল ও রাফাহের পূর্বে আল-বায়ুক এলাকায় বহু ভবন ধ্বংস হয়েছে, যেগুলো আগে ক্ষতিগ্রস্ত ছিল না। ওই এলাকার বাসিন্দা লানা খালিল বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা আমাদের কিছুই রাখেনি, সব কিছু ভেঙে দিয়েছে। এখন আমরা ধ্বংসস্তূপের পাশে তাঁবুতে থাকি।’ আইডিএফ তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী গাজায় সব সন্ত্রাসী অবকাঠামো, টানেল ও অস্ত্র তৈরির কেন্দ্র ধ্বংস করা হবে। তবে সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধবিরতির সময় বেসামরিক সম্পত্তি ধ্বংস আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অধ্যাপক আদিল হক বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির সময় এই ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ কোনোভাবেই প্রয়োজনীয় নয়।’ ইউরোপীয় পররাষ্ট্র পরিষদের সিনিয়র ফেলো হিউ লাভাট সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েল যদি ইয়েলো লাইনের পেছনে অবস্থান দীর্ঘায়িত করে, তাহলে পুরো শান্তি প্রক্রিয়াই ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। সূত্র: বিবিসি


প্রিন্ট