খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে সুখবর দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৯৩
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলেন তামিম ইকবাল
নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া
মসজিদে বিয়ে ও সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া
দেশে বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
ইসরায়েলি হামলার গাজায় নিহত ৭০ হাজারের বেশি
খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
গাজার ক্যাম্পে বৃষ্টিতে দুর্ভোগ, আশ্রয় সংকটে লাখো বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি
- আপডেট সময় ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
- / ২৩ বার পড়া হয়েছে
গাজা শহরে অবিরাম ভারী বর্ষণে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে এবং ফিলিস্তিনিরা চরম দুর্দশার মধ্যে পড়েছেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞার কারণে ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় লাখো মানুষ যথাযথ আশ্রয় ছাড়াই শীতের মুখোমুখি হচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিস্তিনি আব্দুর রহমান আসালিয়া আল জাজিরাকে বলেন, বৃষ্টির পানিতে তাদের বিছানা, কাপড় ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভিজে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সাহায্য চাই। অন্তত এমন নতুন তাঁবু চাই যা শীতের ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করতে পারে।’ তিনি আরও জানান, পানি সরানোর জন্য প্রায় ২০ জনের মতো মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করেও খুব একটা ফলাফল পাননি। তার ভাষায়, ‘বৃষ্টি আল্লাহর রহমত, কিন্তু এখন অনেক পরিবার চায় না বৃষ্টি হোক—কারণ এতে তাদের শিশুরা ঝুঁকিতে পড়ে।’ গাজার সিভিল ডিফেন্স বলেছে, শুক্রবারের বন্যায় উত্তর গাজার পরিবারগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে—যেখানে গত মাসের যুদ্ধবিরতির পর শত শত মানুষ ঘরে ফিরতে চেষ্টা করছিল। কেন্দ্রীয় গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকাতেও বন্যার খবর পাওয়া গেছে। সংস্থাটির মতে, দুই বছরের যুদ্ধের ফলে ধ্বংস হওয়া ঘরবাড়ির জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা এখন সবচেয়ে জরুরি। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘শীতের শুরুতেই বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর জন্য জরুরি ভিত্তিতে ঘর, ক্যারাভ্যান ও তাঁবু সরবরাহ করতে হবে।’ যুদ্ধবিরতির পর কিছু সহায়তা গাজায় প্রবেশ করলেও খাদ্য, ওষুধ ও আশ্রয়ের মতো ক্ষেত্রগুলোতে ঘাটতি রয়ে গেছে। মানবিক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, শীতের আগেই প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার ফিলিস্তিনি পরিবার—অর্থাৎ প্রায় দেড় মিলিয়ন মানুষ—ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, তারা সর্বোচ্চ ১৩ লাখ মানুষকে আশ্রয় ও সহায়তা দিতে সক্ষম, কিন্তু ইসরায়েল এখনও ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের আঞ্চলিক পরিচালক অ্যাঞ্জেলিতা কারেদা বলেন, ‘শীতের ঠাণ্ডা ও বৃষ্টির কারণে পরিবারগুলোকে রক্ষা করার সময় খুবই কম।’ দেইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র ৩০ মিনিটের বর্ষায় ক্যাম্পগুলো তলিয়ে যায়। ‘তাঁবুগুলো খুবই দুর্বল ও পুরনো। মানুষ এগুলো দুই বছর ধরে ব্যবহার করছে,’ বলেন প্রতিবেদক। তিনি আরও জানান, অনেকের কাছে শীতের কাপড় বা কম্বল নেই। শিশুরা খালি পায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। উপরন্তু, সীমিত পরিমাণ ত্রাণ নানা কারণে আটকে রয়েছে। গাজা শহরে বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত অন্য এক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আবু ঘাসসান বলেন, ‘আমাদের আর স্বাভাবিক জীবন নেই।’ তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের যেন ভিজে না যায় তাই গদি তুলে রাখতে হয়। কিন্তু ছোটরা ততক্ষণে ভিজে গেছে। আমাদের ঠিকমতো তাঁবুও নেই।’ সূত্র: আল জাজিরা
প্রিন্ট














