মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) সম্প্রতি জানিয়েছে, এই বছর বিশ্বের বিভিন্ন অংশে অপরিশোধিত তেল উৎপাদনের পরিমাণ আরও বাড়বে। চাহিদার তুলনায় বেশি সরবরাহের কারণে ২০২৬ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক বাজারে তেলের অবস্থা স্বাভাবিক থাকবে, ফলে তেলের দাম কমার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইআইএ বলেছে, ২০২৫ সালে মোট বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের উৎপাদন গড়ে প্রতিদিন ১০ কোটি ৬০ লাখ ব্যারেল ছুঁতে পারে, যা আগের পূর্বাভাসের তুলনায় এক লাখ ব্যারেল বেশি। অন্যদিকে, বিশ্বজুড়ে দৈনিক তেল ব্যবহারের পরিমাণ হতে পারে ১০ কোটি ৪১ লাখ ব্যারেল। সরবরাহের ধারা অব্যাহত থাকায় চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বরে) তেলের মজুত ২৯৩ কোটি ব্যারেলে পৌঁছাতে পারে, যা ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ ৩১৮ কোটি ব্যারেলে উন্নীত হবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বাজারে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। ব্রেন্ট ক্রুডের গড় মূল্য চলতি বছরে ব্যারেলপ্রতি ৬৮ ডলার ৭৬ সেন্টে থাকতে পারে, যা গত বছরের গড় ৮০ ডলার থেকে অনেক কম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের গড় মূল্য কমে ব্যারেলপ্রতি ৬৫ ডলারে পৌঁছতে পারে। উৎপাদনে বিশেষ অবদান রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বছর দেশটিতে জ্বালানি তেল উত্তোলনের পরিমাণ রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে ইআইএ। ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে প্রতিদিন ১ কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল উৎপাদিত হতে পারে, যা সামান্য কমে ২০২৬ সালে দাঁড়াবে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেলে।
সার্বিকভাবে, বিশ্বব্যাপী তেলের সরবরাহ ও মজুত বাড়ার ফলে আগামী কিছু বছর তেলের মূল্য কম থাকার প্রবণতা দেখা দিতে পারে, যা সাধারণ মানুষের জ্বালানি ব্যয় কমাতে সহায়ক হবে।