রাশিয়ার সামরিক শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন ভ্যালেরি গেরাসিমভ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জানিয়েছেন যে, তাদের বাহিনী ইউক্রেনের উত্তরের পূর্বাঞ্চলের শহর কুপিয়ানস্ক দখল করে নিয়েছে। তবে ইউক্রেন এই দাবিকে সরাসরি অস্বীকার করেছে। কিয়েভের ভাষ্য, এই শহরটি এখনও ইউক্রেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া দাবি করেছে, তারা ডোনেৎস্ক অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিকস কেন্দ্র পোকরোভস্কের বেশ কিছু অংশ এবং সীমান্তবর্তী ভভচানস্কের ৮০ শতাংশ দখল করতে সক্ষম হয়েছে। তবে ইউক্রেন এই দাবিগুলোকেও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। ক্রেমলিনের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, পুতিন ওয়েস্ট গ্রুপের কমান্ড পোস্টে গেরাসিমভসহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন। সেখানে কুপিয়ানস্ক, পূর্বাঞ্চলের কস্তিয়ানতিনিভকা ও ক্রামাতোর্স্কের পরিস্থিতির আপডেট দেওয়া হয়। গেরাসিমভ পুতিনকে বলেছেন, ওয়েস্ট গ্রুপ কুপিয়ানস্ক মুক্ত করেছে এবং ওস্কিল নদীর পশ্চিম তীরে ঘিরে থাকা ইউক্রেনীয় সেনাদের উপর চাপ বাড়িয়েছে। তিনি দাবি করেন, পোকরোভস্কের ৭০ শতাংশ এবং ভভচানস্কের ৮০ শতাংশ এখন রুশ নিয়ন্ত্রণে। সবচেয়ে তীব্র লড়াই চলছে পোকরোভস্ক এলাকায়। তবে ইউক্রেন এই দাবিগুলোর সত্যতা অস্বীকার করেছে। দেশের সেনাবাহিনীর সন্ধ্যাকালীন বিবৃতিতে বলা হয়, কুপিয়ানস্ক এখনও ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। একই সঙ্গে পোকরোভস্ক ও ভভচানস্কের বিষয়ে রুশ দাবি-অস্বীকার করা হয়েছে। ইউক্রেন জানিয়েছে, পোকরোভস্ক এলাকায় রুশ বাহিনী ৫৬টি হামলা চালিয়েছে এবং সেই এলাকাতেই সবচেয়ে তীব্র লড়াই চলছে। রুশ সেনারা ধীরে ধীরে ডোনেৎস্ক অঞ্চলের দিকে পশ্চিমমুখী অগ্রসর হচ্ছে, পুরো দোনবাস দখলের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। দক্ষিণের জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলেও সাম্প্রতিক সময়ে কিছু অগ্রগতি অর্জন করেছে রাশিয়া। বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ১৯ শতাংশ ভূখণ্ড রুশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সূত্র: রয়টার্স