হোয়াইট হাউসে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে একত্রিত হলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি। অতীতে অনেক তিক্ত বিরোধ ও পারস্পরিক সমালোচনায় জড়িয়ে থাকলেও বৈঠকের পরে দুজনই প্রকাশ করেছেন, নিউইয়র্কের স্বার্থে তারা একসাথে গঠনমূলকভাবে কাজ করতে চান। বৈঠকের পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের আলোচনা ছিল খুবই ফলপ্রসূ ও উপকারী। আমরা দুজনই চাই নিউইয়র্ক উন্নতি করুক।” তিনি মামদানির নির্বাচনী বিজয়কে প্রশংসা করেন এবং জীবনযাত্রার খরচ নিয়ে তার গুরুত্বারোপকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেন। একসময় ট্রাম্প মামদানিকে ‘জিহাদিস্ট’ বলে আখ্যা দিয়ে তার নাগরিকত্ব বাতিলের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন। তবে এ বার বৈঠকের পরে তিনি বলেন, মামদানি ‘অসাধারণভাবে’ জয় লাভ করেছেন। মামদানি বলেন, “এই বৈঠকটি ছিল ফলপ্রসূ। আমরা মূলত নিউইয়র্ককে কেন্দ্র করে আলোচনা করেছি।” তিনি জানান, ভাড়ার হার, জ্বালানি খরচ ও বাজারসংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ডেমোক্র্যাটপন্থী ও সমাজতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী মামদানি দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার। এর সঙ্গে ট্রাম্পের মতবিরোধ রয়েছে, তবে তিনি বলেন, “মতভিন্নতা থাকার পরও আমরা সাধারণ লক্ষ্য অর্জনে একসাথে কাজ করতে চাই।” মামদানি আশা করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ’ বন্ধ করা এবং জীবনযাত্রার খরচ কমানোর মতো বিষয়গুলোতে দু’পক্ষই একমত হতে পারে। তিনি বলেন, “এই বৈঠক আমাদের মতবিরোধের জন্য নয়, বরং নিউইয়র্কবাসীর সেবা ও উন্নতির জন্য একসঙ্গে কাজের লক্ষ্যেই হয়েছে। আমরা ৮৫ লাখ মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে এমন বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।” অর্থনৈতিক চাপ বাড়ার সময় ট্রাম্পও জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর বিষয়ে মামদানির উদ্যোগকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, “মামদানি আমাকে বলেছেন, আমার অনেক ভোটারই তাকে ভোট দিয়েছেন। এতে আমার কোনও আপত্তি নেই।”