গাজায় আবারও ভারী বোমাবর্ষণ ও গুলিবর্ষণ চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী, যা চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। শনিবার (২২ নভেম্বর) ভোরে রাফাহ ও খান ইউনিজের পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন আবাসিক ভবন এবং অন্যান্য স্থাপনায় ব্যাপক বিমান হামলা হয়। স্থানীয়রা জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী বেশ কয়েকটি ভবনে বোমা স্থাপন করে বিস্ফোরণ ঘটায়। এই এলাকাগুলি গাজার দক্ষিণে অবস্থিত ‘হলুদ জোন’-এর অংশ। গাজার পূর্বাঞ্চলের আল তুফাহ ও শুজাইয়া এলাকারও একই ধরনের বিস্ফোরণ, বিমান হামলা, গোলাবর্ষণ এবং মাঝে মাঝে গুলির শব্দ শোনা গেছে প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে। শুক্রবারও খান ইউনিজ, গাজা সিটি, বুরেইজ শরণার্থী ক্যাম্পের পূর্বাংশ ও উত্তরের জাবালিয়া ক্যাম্পের কাছে ইসরায়েলি সেনারা বিভিন্ন ভবনে হামলা চালায়। যুদ্ধবিরতির পরও গাজার অর্ধেকের বেশি অঞ্চল ইসরায়েলি দখলে রয়েছে। ‘হলুদ লাইন’ চিহ্নিত এলাকাগুলিতে ইসরায়েলি সেনাদের উপস্থিতি অব্যাহত রয়েছে, যা ফিলিস্তিনিদের বসবাসের জন্য নির্ধারিত অঞ্চলের বাইরে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ওই লাইন ধরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও বেশি হামলা চালিয়েছে। এর ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে অঞ্চলের, এবং আশপাশের এলাকার মানুষের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৭০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছে এক লাখ ৭০ হাজারের বেশি নাগরিক। গাজার বেশিরভাগ এলাকা এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত। সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড