শ্রীলঙ্কায় গত সপ্তাহের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষকে সহায়তা পৌঁছানোর জন্য সোমবারও উদ্ধারকারীরা রাস্তাগুলো পরিষ্কার করে ত্রাণ বিতরণে ব্যস্ত ছিলেন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫৫ এবং নিখোঁজ রয়েছেন ৩৬৬ জন। শুক্রবার আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় ‘দিতওয়া’ প্রবল দমকা হাওয়া ও ভারী বর্ষণের মাধ্যমে দেশটিতে দশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক বন্যা সৃষ্টি করে। পাহাড়ি অঞ্চলে একাধিক ভূমিধসের ঘটনাও ঘটে। রাজধানী কলম্বো থেকে কেলানি নদীর তীরে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর মানুষজন তাদের বাড়িঘর থেকে সম্ভব মতো উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। গত সপ্তাহে ট্রেন ও বিমান চলাচল ব্যাহত হলেও সোমবার থেকে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে এসেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে স্কুলগুলো এখনও বন্ধ রয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে উত্তর দিকে সরে যাচ্ছে এবং দুর্বল হয়ে পড়ছে। রবিবার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েকে বলেন, দেশের ইতিহাসে এই প্রথম পুরো দেশ এমন বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হয়েছে। তিনি এটিকে ‘সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং’ দুর্যোগ বলেও উল্লেখ করেন। এই ঘূর্ণিঝড় ভারতের তামিলনাড়ুতেও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণ হয়েছে। রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী কে.কে.এস.এস.আর. রামাচন্দ্রন জানান, সেখানে বৃষ্টির কারণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া কর্মকর্তারা বলছেন, চেন্নাই উপকূলে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে থাকা এই ঝড়টি এখন ‘ডিপ ডিপ্রেশন’ অবস্থানে পৌঁছেছে এবং আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে আরও দুর্বল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র: রয়টার্স