, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

ইসলামাবাদের পর রাওয়ালপিন্ডিতেও সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ৪ ঘন্টা আগে
  • / ২ বার পড়া হয়েছে

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খানের মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জনের কারণে দেশটির রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। নেতার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে দলটির কর্মী ও সমর্থকেরা উদ্বিগ্ন। এই পরিস্থিতিতে ১৮ নভেম্বর থেকে রাজধানী ইসলামাবাদে জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার। এখন এই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর রাওয়ালপিন্ডি, যেখানে কারাগারে বন্দি আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর। স্থানীয় সময় সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাওয়ালপিন্ডি জেলা প্রশাসন তিন দিনের জন্য জনসভা ও সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। দ্য ডনের খবরে উল্লেখ করা হয়, ‘পিসফুল অ্যাসেম্বলি অ্যান্ড পাবলিক অর্ডার অ্যাক্ট-২০২৪’ অনুযায়ী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজধানীতে জনসমাবেশ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রাখেন। রাওয়ালপিন্ডির ডেপুটি কমিশনার ড. হাসান ওয়াকর চিমার স্বাক্ষরিত এক আদেশে জানানো হয়, ২০২৪ সালের পাকিস্তান দণ্ডবিধি (পঞ্জাব সংশোধনী) আইনের ধারা ১৪৪ ১ ডিসেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের জন্য কার্যকর থাকবে। এই আদেশটি ১ ডিসেম্বর জারি করা হয়। এতে বলা হয়, রাওয়ালপিন্ডি জেলার জননিরাপত্তা, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে, রাওয়ালপিন্ডির গোয়েন্দা কমিটি নিশ্চিত করেছে যে কিছু গোষ্ঠী সমাবেশ ও বিক্ষোভের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে। এতে সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে, যা জনসাধারণের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে। কাইবর পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে আটবার সাক্ষাতের অনুমতি না পাওয়ায় গত সপ্তাহে আদিয়ালা জেলের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। একইভাবে, ইমরান খানের পরিবারের সদস্যরাও বেশ কিছু সময় ধরে তার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে কিছু গুঞ্জন থাকলেও সরকার বলছে, তিনি সুস্থ আছেন। পিটিআই নেতা আসাদ কায়সার বলেন, তিনি মঙ্গলবার কোয়েটায় এক জনসভায় অংশ নিতে যাচ্ছেন, যেখানে বিরোধী জোটের নেতারাও উপস্থিত থাকবেন। অন্য দলীয় নেতারাও প্রতিবাদে যোগ দেবেন বলে জানান তিনি। পাশাপাশি, ব্যারিস্টার গোহর আলী খান ও অন্যান্য নেতারাও দুই শহরে প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করবেন। আসাদ কায়সার জানিয়ে দেন, পার্লামেন্টারি কমিটি ইমরান খানের মুক্তির দাবিও জানিয়েছে, কারণ তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে না দেওয়াকে মানবাধিকার লঙ্ঘন মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার ও সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে জেলে আছেন। বর্তমানে তিনি রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে বন্দি। ইমরান খানের পরিবার অভিযোগ করছে, তারা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি এবং তার জীবিত থাকার প্রমাণ চাইছেন। ইমরান খানের ছেলে কাসিম খান জানিয়েছেন, তারা এখনও পর্যন্ত বন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি বা যাচাইযোগ্য কোন যোগাযোগ করতে পারেননি, যদিও আদালতের আদেশ অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে সাক্ষাতের অনুমতি ছিল।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসলামাবাদের পর রাওয়ালপিন্ডিতেও সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

আপডেট সময় ৪ ঘন্টা আগে

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খানের মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জনের কারণে দেশটির রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। নেতার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে দলটির কর্মী ও সমর্থকেরা উদ্বিগ্ন। এই পরিস্থিতিতে ১৮ নভেম্বর থেকে রাজধানী ইসলামাবাদে জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার। এখন এই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর রাওয়ালপিন্ডি, যেখানে কারাগারে বন্দি আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর। স্থানীয় সময় সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাওয়ালপিন্ডি জেলা প্রশাসন তিন দিনের জন্য জনসভা ও সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। দ্য ডনের খবরে উল্লেখ করা হয়, ‘পিসফুল অ্যাসেম্বলি অ্যান্ড পাবলিক অর্ডার অ্যাক্ট-২০২৪’ অনুযায়ী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজধানীতে জনসমাবেশ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রাখেন। রাওয়ালপিন্ডির ডেপুটি কমিশনার ড. হাসান ওয়াকর চিমার স্বাক্ষরিত এক আদেশে জানানো হয়, ২০২৪ সালের পাকিস্তান দণ্ডবিধি (পঞ্জাব সংশোধনী) আইনের ধারা ১৪৪ ১ ডিসেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের জন্য কার্যকর থাকবে। এই আদেশটি ১ ডিসেম্বর জারি করা হয়। এতে বলা হয়, রাওয়ালপিন্ডি জেলার জননিরাপত্তা, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে, রাওয়ালপিন্ডির গোয়েন্দা কমিটি নিশ্চিত করেছে যে কিছু গোষ্ঠী সমাবেশ ও বিক্ষোভের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে। এতে সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে, যা জনসাধারণের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে। কাইবর পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে আটবার সাক্ষাতের অনুমতি না পাওয়ায় গত সপ্তাহে আদিয়ালা জেলের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। একইভাবে, ইমরান খানের পরিবারের সদস্যরাও বেশ কিছু সময় ধরে তার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে কিছু গুঞ্জন থাকলেও সরকার বলছে, তিনি সুস্থ আছেন। পিটিআই নেতা আসাদ কায়সার বলেন, তিনি মঙ্গলবার কোয়েটায় এক জনসভায় অংশ নিতে যাচ্ছেন, যেখানে বিরোধী জোটের নেতারাও উপস্থিত থাকবেন। অন্য দলীয় নেতারাও প্রতিবাদে যোগ দেবেন বলে জানান তিনি। পাশাপাশি, ব্যারিস্টার গোহর আলী খান ও অন্যান্য নেতারাও দুই শহরে প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করবেন। আসাদ কায়সার জানিয়ে দেন, পার্লামেন্টারি কমিটি ইমরান খানের মুক্তির দাবিও জানিয়েছে, কারণ তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে না দেওয়াকে মানবাধিকার লঙ্ঘন মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার ও সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে জেলে আছেন। বর্তমানে তিনি রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে বন্দি। ইমরান খানের পরিবার অভিযোগ করছে, তারা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি এবং তার জীবিত থাকার প্রমাণ চাইছেন। ইমরান খানের ছেলে কাসিম খান জানিয়েছেন, তারা এখনও পর্যন্ত বন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি বা যাচাইযোগ্য কোন যোগাযোগ করতে পারেননি, যদিও আদালতের আদেশ অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে সাক্ষাতের অনুমতি ছিল।


প্রিন্ট