পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বর্তমানে সুস্থ ও জীবিত আছেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ নিশ্চিত করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, কয়েক সপ্তাহ যাবত বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে কারাগারে থাকা ইমরান খানের সঙ্গে তার বোন ডা. উজমা খানমের সাক্ষাৎ হয়েছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে ইমরান খানের স্বাস্থ্যের অবনতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল। তার তিন বোন নোরিন নিয়াজি, আলিমা খান ও উজমা খান অভিযোগ করেন, ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয় এবং তারা ‘হয়রানি ও হামলার’ শিকার হন। এতে স্বজনদের উদ্বেগ আরও বৃদ্ধি পায়। ইমরান খানের ছেলে কাসিম খান রॉयটার্সকে জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাৎ করাতে কারা কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করছে এবং তার বাবার স্বাস্থ্যের বিষয়ে “কিছু গুরুতর বিষয় গোপন রাখা হচ্ছে” বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। পরিবারের অভিযোগ, ইমরান খানের ব্যক্তিগত চিকিৎসককেও দীর্ঘদিন ধরে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে পরিবার বা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতাদের কেউই ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে না পারায় তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক মাধ্যমে বিশেষ করে আফগানিস্তানভিত্তিক কিছু অ্যাকাউন্ট এ গুজব ছড়ায়, যা দ্রুত দুই দেশের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে আরও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। এসব জল্পনা-কল্পনার মধ্যে গত রবিবার পিটিআই’র সিনেটর খুররম জিশান অভিযোগ করেন, সরকার ইমরান খানকে একঘরে করে তাকে দেশ ছাড়তে চাপ দিচ্ছে। তার দাবি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার ইমরান খানের জনপ্রিয়তা নিয়ে আতঙ্কিত, তাই কোনো ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করছে না। অন্যদিকে, ইমরান খানের সমর্থকরা মঙ্গলবার সকালে ইসলামাবাদ হাই কোর্টের সামনে বিক্ষোভ করে। রাজধানী ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে বড় সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও তাদের বিক্ষোভ থামানো যায়নি। বিশ্বকাপজয়ী সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান বর্তমানে ৭২ বছর বয়সী এবং তিনি ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন।