যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান পিট হেগসেথ এবং পেন্টাগনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস। এই মামলা করা হয় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নিয়মাবলীর প্রতিবাদে, যা সাংবাদিকদের পেন্টাগনে প্রবেশ ও সূত্রভিত্তিক রিপোর্টিংয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসির জেলা আদালতে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সরকার সাংবাদিকদের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করছে। উল্লেখ্য, অক্টোবর মাসে পেন্টাগনে কাজ করা সাংবাদিকদের জন্য নতুন নিয়ম চালু হয়, যাতে উল্লেখ ছিল যে তারা হেগসেথের অনুমোদন ছাড়া কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ করতে পারবে না। এই নিয়মের মূল লক্ষ্য ছিল সামরিক সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রবেশ ও চলাচল সীমিত করা। এর ফলে অনেক শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের ক্রেডেনশিয়াল জমা দেয়। পেন্টাগন ২১ পৃষ্ঠার ফর্মে বলেছিল, তারা সম্মত হবে যে কোনো সরকারি কর্মচারীকে ‘গোপন সরকারি তথ্য সরবরাহ করে আইন লঙ্ঘনের জন্য উসকানি’ দেয়া বা ‘অপ্রকাশিত সংস্থার তথ্য’ শেয়ার করতে উৎসাহিত করবে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিউ ইয়র্ক টাইমসের মুখপাত্র চার্লি স্ট্যাডল্যান্ড এক বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘পেন্টাগনের এই সিদ্ধান্ত রিপোর্টিংয়ের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা। টাইমস এই অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করবে।’ মামলায় যুক্তি দেওয়া হয়েছে, ‘নতুন নীতিমালা মুক্ত সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘন করছে এবং সাংবাদিকদের সরকারি কর্মচারীদের প্রশ্ন করার ও অফিসিয়াল বিবৃতি বাইরের তথ্য সংগ্রহের কাজটি করতে বাঁধা দিচ্ছে।’ আরও বলা হয়েছে, ‘বিভাগের কর্মকর্তাদের অনুমোদন ছাড়া কোনো তথ্য রিপোর্ট করলে শাস্তি হতে পারে, সেটা তথ্যের প্রকৃতি—গোপন বা প্রকাশ্য—যেকোনো পরিস্থিতিতে। এছাড়াও যুক্তি দেওয়া হয়েছে, এই নীতি পরিবর্তনগুলো স্বাধীন সাংবাদিকতা ও সংবাদ সংস্থাগুলোর পেন্টাগন কাভারেজ সীমিত করার জন্য তৈরি, যাতে তারা প্রাপ্ত ও প্রকাশযোগ্য তথ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে বা তাদের ওপর অকার্যকর বিধিনিষেধ চাপিয়ে প্রভাবিত করা হয়।’ সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান