ওয়াশিংটন অতীতে দুবার ইরানের সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিরিয়ায় নিযুক্ত বিশেষ দূত টম ব্যারাক। তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বজুড়ে ১৯৪৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৯৩টি অভ্যুত্থান বা শাসন পরিবর্তনের চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে, যার মধ্যে দুটিই ইরানে, তবে কোনোোটিই সফল হয়নি। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক মিডিয়া গ্রুপ আইএমআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্যারাক এ বিষয়টি ব্যক্ত করেন। পরে তেহরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আইএসএনএ-র খবরে এই খবর প্রকাশিত হয়। ব্যারাক বলেন, ‘(ট্রাম্পের) ওপর যদি শাসন পরিবর্তনের অভিযোগ আনা হয়, তাহলে আমাদের ইতিমধ্যে ইরানে দুটি পরিবর্তনের চেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু সেগুলো সফল হয়নি। আমি মনে করি, বিষয়টি সমাধানে অঞ্চলকেই এগিয়ে আসা উচিত।’ বর্তমানে তুরস্কে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ব্যারাক। তিনি আরও দাবি করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ‘শাসন পরিবর্তনের জন্য আগ্রহী নন’ এবং আঞ্চলিক পক্ষগুলোকে নিয়ে ‘একটি আঞ্চলিক সমাধানকেই অগ্রাধিকার দেন’। তিনি স্বীকার করেন, আঞ্চলিক আলোচনা ও বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপ না থাকা একটি দীর্ঘস্থায়ী সমাধান দিতে পারে। আরও অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আগ্রহী, যদি ইরানি কর্তৃপক্ষ ‘গুরুত্ব’ ও গঠনমূলক আলোচনায় অঙ্গীকার করে। অন্যদিকে, শনিবার জাপানের কিয়োডো নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনও ‘বাস্তব ও গুরুতর আলোচনা’ শুরুর প্রস্তুতি দেখাতে পারেনি। তিনি উল্লেখ করেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু শক্তি কর্মসূচির স্বীকৃতি দেয় এবং দেশটির ওপর আরোপিত একতরফা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে, তাহলে আলোচনা এগোতে পারে।