চীনে এনভিডিয়ার উন্নতমানের এইচ২০০ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) চিপের রপ্তানির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সবুজ সংকেত দিয়েছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি চিপের উপর ২৫ শতাংশ কর আরোপ করা হবে। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) নিজের সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যাল-এ এই ঘোষণা দেন ট্রাম্প। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই সিদ্ধান্তের ফলে দীর্ঘদিনের বিতর্কের সমাধান হল—চীনে চিপ বিক্রি করলে মার্কিন কোম্পানিগুলো বৈশ্বিক বাজারে এগিয়ে থাকবে, নাকি সম্পূর্ণরূপে নিষেধাজ্ঞা জারি করলে চীনের প্রযুক্তি দ্রুত শক্তিশালী হবে। যদিও বেইজিং আগে থেকেই স্থানীয় শিল্পগুলোকে মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে, তাই এই অনুমতি বাস্তবে কতটা বিক্রিতে প্রভাব ফেলবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। অন্যদিকে, ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী বাজারে এনভিডিয়ার শেয়ার মূল্য ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগের দিনেও সিমাফর এর রিপোর্টে শেয়ার ৩ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি বিষয়টি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে জানিয়েছেন এবং তিনি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। ট্রাম্প জানান, বাণিজ্য বিভাগ এই বিষয়টি চূড়ান্ত করছে এবং এএমডি ও ইন্টেল—এমনকি অন্যান্য এআই চিপ নির্মাতাদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। এই প্রস্তাবিত কর ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই সিদ্ধান্তের মূল লক্ষ্য হলো দেশের নিরাপত্তা রক্ষা, যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং এআই–এ দেশকে এগিয়ে নেওয়া। নতুন ব্ল্যাকওয়ে ও রুবিন সিরিজ—যেগুলো আরও উন্নত—এসব রপ্তানি চুক্তির আওতায় আসবে না। হোয়াইট হাউসের মতে, তাইওয়ানে তৈরি এইচ২০০ চিপগুলো প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হবে এবং নিরাপত্তা যাচাইয়ের পর অনুমোদিত চীনা ব্যবসায়িক গ্রাহকদের কাছে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এনভিডিয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, বাণিজ্য বিভাগের যাচাইয়ের মাধ্যমে অনুমোদিত গ্রাহকদের কাছে এইচ২০০ সরবরাহ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও লাভজনক সিদ্ধান্ত। বিশ্লেষকদের মতে, চীন সম্ভবত এইচ২০০ কিনবে, কারণ এগুলো দেশীয় উৎপাদিত চিপের তুলনায় অনেক উন্নত। তবে কিছু বিশেষজ্ঞের ধারণা, চীন এখনও মার্কিন চিপের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ার ঝুঁকি ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।