, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ভরা মঞ্চে তরুণীর হিজাব টেনে খুলে বিতর্কে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী Logo ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭০ কোটি ডলার Logo জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা Logo হাদিকে গুলি: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার Logo সাংবাদিক আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তারে সম্পাদক পরিষদের নিন্দা Logo পঞ্চগড়-১ আসনে মনোনয়নপত্র কিনলেন সারজিস আলম Logo সিইসির সেই বিতর্কিত বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলো ইসি Logo কালই বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ মোবাইল ফোন, নতুন সিদ্ধান্ত সরকারের Logo এমপি প্রার্থী ও রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সে নতুন নীতিমালা Logo গরুর সঙ্গে অটোরিকশার ধাক্কা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গ্রামের সংঘর্ষ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

মোসাদের অফিসে ইরানের সেই হামলায় ৩৬ গোয়েন্দা মারা যায়

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে

চলতি বছরের জুন মাসে ইরানে হামলা চালিয়ে বারো দিনের যুদ্ধে শুরু করে ইসরায়েল। এর জবাবে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও গোয়েন্দা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালায় ইরান। সেই সময় ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনিশো জন নিহত হয়। স্থানীয় সময় রোববার (৭ ডিসেম্বর) এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছেন ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলি-মোহাম্মদ নায়িনি। খবর প্রেস টিভি। আইআরজিসির মুখপাত্র বলেন, ‘মধ্য‑জুনে যুদ্ধ শুরু হতেই, ইসরায়েল তেহরানের একটি জ্বালানি ডিপোতে হামলা করে। এর পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে ইরান পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায়।’ প্রথমে তারা দুই ধাপে হাইফা তেল শোধনাগারে হামলা চালায়, যা নায়িনি বলেন ‘ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের অন্যতম সেরা উদাহরণ’। এই হামলায় শোধনাগারটি কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। এরপর, ইসরায়েল ইরানের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র আক্রমণ করলে, ইরান মোসাদের এক স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালায়। নায়িনি জানান, সেই হামলায় তিনিশো জন নিহত হয়। তিনি আরও বলেন, ‘ট্রু প্রমিজ ৩’ অপারেশন যুদ্ধের শুরু থেকেই কার্যকর ছিল। এটি একটি বহুস্তরীয়, আধুনিক ও জটিল অপারেশন, যেখানে ইলেকট্রনিক যুদ্ধ, সাইবার আক্রমণ, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন একসঙ্গে ব্যবহৃত হয়। আইআরজিসি দাবি করেছে, তারা পুরো সময় ধরে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও প্রস্তুতিতে ছিল। নায়িনি আরও বলেন, ইসরায়েলের সামরিক ও গোয়েন্দা বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বেশি সফল ছিল। তারা একটি ৩২ তলা ভবনের ‘নিচের এক তলা’ পর্যন্ত লক্ষ্য করে, যা দখলকৃত ফিলিস্তিনের একটি স্টক এক্সচেঞ্জ ডেটা সেন্টার। যুদ্ধের সময় ইসরায়েল তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও মার্কিন সামরিক সহায়তা ব্যবহার করলেও, আইআরজিসি দাবি করে তা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়। নায়িনি বলেন, ‘একটি ক্ষেপণাস্ত্র একাধিক গুণ বেশি ক্ষতি করতে সক্ষম’। আইআরজিসির বক্তব্য অনুযায়ী, এই বারো দিনের যুদ্ধ শুধুমাত্র সামরিক সংঘর্ষ নয়; এটি ছিল তথ্য, সাইবার, প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা আধিপত্যের জন্য লড়াই, যেখানে ইরান দাবি করেছে তারা সফলভাবে তাদের প্রতিরক্ষা বজায় রেখেছে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

মোসাদের অফিসে ইরানের সেই হামলায় ৩৬ গোয়েন্দা মারা যায়

আপডেট সময় ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

চলতি বছরের জুন মাসে ইরানে হামলা চালিয়ে বারো দিনের যুদ্ধে শুরু করে ইসরায়েল। এর জবাবে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও গোয়েন্দা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালায় ইরান। সেই সময় ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনিশো জন নিহত হয়। স্থানীয় সময় রোববার (৭ ডিসেম্বর) এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছেন ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলি-মোহাম্মদ নায়িনি। খবর প্রেস টিভি। আইআরজিসির মুখপাত্র বলেন, ‘মধ্য‑জুনে যুদ্ধ শুরু হতেই, ইসরায়েল তেহরানের একটি জ্বালানি ডিপোতে হামলা করে। এর পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে ইরান পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায়।’ প্রথমে তারা দুই ধাপে হাইফা তেল শোধনাগারে হামলা চালায়, যা নায়িনি বলেন ‘ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের অন্যতম সেরা উদাহরণ’। এই হামলায় শোধনাগারটি কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। এরপর, ইসরায়েল ইরানের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র আক্রমণ করলে, ইরান মোসাদের এক স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালায়। নায়িনি জানান, সেই হামলায় তিনিশো জন নিহত হয়। তিনি আরও বলেন, ‘ট্রু প্রমিজ ৩’ অপারেশন যুদ্ধের শুরু থেকেই কার্যকর ছিল। এটি একটি বহুস্তরীয়, আধুনিক ও জটিল অপারেশন, যেখানে ইলেকট্রনিক যুদ্ধ, সাইবার আক্রমণ, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন একসঙ্গে ব্যবহৃত হয়। আইআরজিসি দাবি করেছে, তারা পুরো সময় ধরে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও প্রস্তুতিতে ছিল। নায়িনি আরও বলেন, ইসরায়েলের সামরিক ও গোয়েন্দা বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বেশি সফল ছিল। তারা একটি ৩২ তলা ভবনের ‘নিচের এক তলা’ পর্যন্ত লক্ষ্য করে, যা দখলকৃত ফিলিস্তিনের একটি স্টক এক্সচেঞ্জ ডেটা সেন্টার। যুদ্ধের সময় ইসরায়েল তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও মার্কিন সামরিক সহায়তা ব্যবহার করলেও, আইআরজিসি দাবি করে তা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়। নায়িনি বলেন, ‘একটি ক্ষেপণাস্ত্র একাধিক গুণ বেশি ক্ষতি করতে সক্ষম’। আইআরজিসির বক্তব্য অনুযায়ী, এই বারো দিনের যুদ্ধ শুধুমাত্র সামরিক সংঘর্ষ নয়; এটি ছিল তথ্য, সাইবার, প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা আধিপত্যের জন্য লড়াই, যেখানে ইরান দাবি করেছে তারা সফলভাবে তাদের প্রতিরক্ষা বজায় রেখেছে।


প্রিন্ট