, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

ক্ষমতায় আসতেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে নালিশ, পানামার প্রতিবাদ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১৯৯ বার পড়া হয়েছে

৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পর প্রথম ভাষণে তিনি পানামা খাল নিয়ে একটি মন্তব্য করেন, যা পানামার সরকারকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। ট্রাম্প দাবি করেন, পানামা ১৯৯৯ সালে চূড়ান্তভাবে খালটি যুক্তরাষ্ট্রের হাতে হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে এবং বর্তমানে চীনের কাছে এর কার্যক্রম হস্তান্তর করা হয়েছে।

এই মন্তব্যের পর পানামার প্রেসিডেন্ট জোসে রাউল মুলিনো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে ট্রাম্পের অভিযোগের প্রতিবাদ জানান। চিঠিতে তিনি জাতিসংঘ সনদের একটি অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে বলেন, কোনো সদস্য রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অখণ্ডতা বা রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।

পানামা সরকার ট্রাম্পের অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে যে, পানামা খাল কোনভাবেই চীন নিয়ন্ত্রণ করে না। তবে, হংকংভিত্তিক সিকে হাচিসন হোল্ডিংস কোম্পানি ১৯৯৭ সাল থেকে খালের দুটি বন্দর পরিচালনা করছে। ট্রাম্পের ভাষায়, “আমরা পানামাকে খালটি দিয়েছি, আর এখন তা ফিরিয়ে নিচ্ছি,” এই বক্তব্যটি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

পানামা খাল প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে সংযোগ ঘটাতে কৃত্রিমভাবে খনন করা হয়েছিল। এ খালটির মাধ্যমে বছরে ১৪ হাজার জাহাজ যাতায়াত করে, যা বৈশ্বিক বাণিজ্যে ২.৫ শতাংশ এবং মার্কিন কনটেইনারের ৪০ শতাংশ পরিবহন করে। এর গুরুত্ব যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত বেশি, বিশেষ করে এশিয়া থেকে পণ্য আমদানির জন্য। এই উত্তেজনা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করেছে, যার ফলশ্রুতিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি উত্থাপন হতে পারে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

ক্ষমতায় আসতেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে নালিশ, পানামার প্রতিবাদ

আপডেট সময় ০৪:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পর প্রথম ভাষণে তিনি পানামা খাল নিয়ে একটি মন্তব্য করেন, যা পানামার সরকারকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। ট্রাম্প দাবি করেন, পানামা ১৯৯৯ সালে চূড়ান্তভাবে খালটি যুক্তরাষ্ট্রের হাতে হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে এবং বর্তমানে চীনের কাছে এর কার্যক্রম হস্তান্তর করা হয়েছে।

এই মন্তব্যের পর পানামার প্রেসিডেন্ট জোসে রাউল মুলিনো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে ট্রাম্পের অভিযোগের প্রতিবাদ জানান। চিঠিতে তিনি জাতিসংঘ সনদের একটি অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে বলেন, কোনো সদস্য রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অখণ্ডতা বা রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।

পানামা সরকার ট্রাম্পের অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে যে, পানামা খাল কোনভাবেই চীন নিয়ন্ত্রণ করে না। তবে, হংকংভিত্তিক সিকে হাচিসন হোল্ডিংস কোম্পানি ১৯৯৭ সাল থেকে খালের দুটি বন্দর পরিচালনা করছে। ট্রাম্পের ভাষায়, “আমরা পানামাকে খালটি দিয়েছি, আর এখন তা ফিরিয়ে নিচ্ছি,” এই বক্তব্যটি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

পানামা খাল প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে সংযোগ ঘটাতে কৃত্রিমভাবে খনন করা হয়েছিল। এ খালটির মাধ্যমে বছরে ১৪ হাজার জাহাজ যাতায়াত করে, যা বৈশ্বিক বাণিজ্যে ২.৫ শতাংশ এবং মার্কিন কনটেইনারের ৪০ শতাংশ পরিবহন করে। এর গুরুত্ব যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত বেশি, বিশেষ করে এশিয়া থেকে পণ্য আমদানির জন্য। এই উত্তেজনা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করেছে, যার ফলশ্রুতিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি উত্থাপন হতে পারে।


প্রিন্ট