মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় বেলারুশ ১২৩ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে বিরোধী নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা এবং নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত মানবাধিকার কর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কিও। মিনস্কে বেলারুশ সরকারের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত জন কোয়েলের আলোচনা শেষে এই বন্দি মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিনিময়ে, যুক্তরাষ্ট্র বেলারুশের ওপর আরোপিত পটাশ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে রাজি হয়েছে। পটাশ সার উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং বেলারুশের মূল রপ্তানি পণ্যের মধ্যে এটি একটি। মার্কিন দূত জন কোয়েল বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে ধাপে ধাপে আরও নিষেধাজ্ঞা সরানো হবে। ২০২০ সাল থেকে কারাগারে থাকা মারিয়া কোলেসনিকোভা মুক্তির পর বলেন, প্রিয়জনদের দেখার ও তাদের আদর করার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, স্বাধীন জীবনের প্রথম সূর্যোদয় দেখা এক অসাধারণ অনুভূতি, তবে এখনও বন্দি থাকা অন্যান্যদের কথাও ভাবতে হচ্ছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোলেসনিকোভাসহ ১১৪ জন বন্দিকে ইউক্রেনে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ায় পাঠানো হবে। কিছু বন্দিকে সরাসরি লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে নেওয়া হয়েছে, যেখানে বিয়ালিয়াতস্কিও বর্তমানে রয়েছেন। বেলারুশের নির্বাসিত বিরোধী নেত্রী স্বেতলানা তিখানোভস্কায়া বলেন, এই মুক্তির মাধ্যমে বোঝা যায় যে, নিষেধাজ্ঞা স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করার কার্যকর হাতিয়ার। তিনি উল্লেখ করেন, লুকাশেঙ্কো মানবিক কারণে নয়, রাজনৈতিক দর কষাকষির অংশ হিসেবে বন্দিদের মুক্তি দিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোকে বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। ২০২০ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পরে দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ দমন ও রাজনৈতিক দমন-পীড়ন শুরু হয়, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। সূত্র: বিবিসি