ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড নিয়ে ছাত্রদলের উদ্বেগ, গ্রেপ্তার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
হাদির জানাজায় আনা যাবে না ব্যাগ, ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ
কাল বাদ জোহর ওসমান হাদির জানাজা ও দাফন
কবি নজরুলের পাশে শায়িত হবেন ওসমান হাদি
ঢাকায় পৌঁছাল ওসমান হাদির মরদেহবাহী বিমান
ঢাকার পথে হাদির মরদেহ, বিমানবন্দর থেকে ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হবে
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য এখন স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
ঢাকায় নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন
বাংলাদেশে থাকা মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস
দিনাজপুরে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে অসুস্থ ৬০ জন
তাইওয়ানে ১১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের
- আপডেট সময় ৪ ঘন্টা আগে
- / ৩ বার পড়া হয়েছে
তাইওয়ানে ১১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যমানের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা) নতুন অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন। এই বিক্রির আওতায় ড্রোন, রকেট, আর্টিলারি ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ মোট আটটি পৃথক অস্ত্র প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্তে মার্কিন-চীন উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে স্থানীয় সময়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় সম্প্রচারিত ভাষণের সময় এই অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দেয়। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রস্তাবিত অস্ত্র বিক্রির মধ্যে রয়েছে ৮২টি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রকেট সিস্টেম এবং ৪২০টি আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম, যার মোট মূল্য চার বিলিয়ন ডলারের বেশি। এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র যে অস্ত্র সরবরাহ করেছে, তার সঙ্গে বেশ সাদৃশ্যপূর্ণ। এতে আরও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ৬০টি স্বয়ংক্রিয় হাউইটজার আর্টিলারি সিস্টেম ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম, যার মূল্য চার বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের ড্রোন যার মূল্য এক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। প্যাকেজের অন্যান্য বিক্রয়গুলোর মধ্যে রয়েছে— এক বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের সামরিক সফটওয়্যার, ৭০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যমানের জ্যাভেলিন ও ট্যাংক ধ্বংসকারী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র, ৯৬ মিলিয়ন ডলারের হেলিকপ্টার খুচরা যন্ত্রাংশ এবং ৯১ মিলিয়ন ডলার মূল্যের হারপুন ক্ষেপণাস্ত্রের সংস্কার কিট। তদ্ব্যতীত, সামরিক ইউনিটগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য ব্যবহৃত ‘ট্যাকটিক্যাল মিশন নেটওয়ার্ক’ নামে পরিচিত একটি ব্যবস্থার জন্য ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুমোদন পেয়েছে, যার মধ্যে সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার, সরঞ্জাম ও সেবা অন্তর্ভুক্ত। পাশাপাশি, ৯১.৪ মিলিয়ন ডলারের হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র মেরামত সহায়তা ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম, এবং ৯৬ মিলিয়ন ডলারের এএইচ-ওয়ানডব্লিউ সুপারকোবরা হেলিকপ্টারের খুচরা যন্ত্রাংশ ও মেরামত সেবার বিক্রয়ও অনুমোদিত হয়েছে। এই ঘোষণা অনুসারে ৩০ দিনের আইনি পর্যালোচনা সময় শুরু হয়েছে, যেখানে কংগ্রেস যৌথ প্রস্তাবের মাধ্যমে বিক্রয় বাতিলের সুযোগ পেতে পারে। তবে কংগ্রেসিয়াল রিসার্চ সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, অতীতে কখনোই কংগ্রেস সফলভাবে এই ধরনের অস্ত্র বিক্রয় বন্ধ করতে পারেনি। চুক্তির বিষয়ে পেন্টাগন জানিয়েছে, এসব বিক্রি তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকীকরণ ও প্রতিরক্ষামূলক সক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয়, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রেসিডেন্টের দপ্তর এই ঘোষণা স্বাগত জানালেও চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি। মনে করা হচ্ছে, এই বিশাল অস্ত্র বিক্রির ফলে চীন ক্ষুব্ধ হবে। চীন তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি ব্যবহার করে দ্বীপটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হুমকি দিয়ে আসছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আত্মরক্ষা সক্ষমতা বজায় রাখতে এবং দ্রুত শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে যুক্তরাষ্ট্র যথাযথ সহায়তা প্রদান করছে।” তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট দপ্তরের মুখপাত্র কারেন কুও বলেছেন, “তাইওয়ান তার প্রতিরক্ষা জোরদার করতে এই খাতে সংস্কার চালিয়ে যাবে, যাতে নিজেদের রক্ষা করার দৃঢ় সংকল্প দেখানো যায় এবং শক্তির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়।” অন্যদিকে, চীনের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তর বুধবার জানিয়েছে, তারা তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্কিত বিল পাসের জন্য মার্কিন কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত ও দুই দেশের মধ্যে যেকোনো সামরিক সম্পর্কের বিরোধিতা করছে।
প্রিন্ট


























