, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

উসকানিমূলক কনটেন্ট নিয়ে মেটাকে সরকারের চিঠি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ৩ ঘন্টা আগে
  • / ৪ বার পড়া হয়েছে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহিংসতা উসকে দিয়ে নির্বাচন বানচালের পরিকল্পনা এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলার উসকানি দেওয়া কনটেন্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে মেটাকে চিঠি পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি এই চিঠি পাঠায়। একই সঙ্গে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট পর্যন্ত বাংলাদেশ বিষয়ক কনটেন্টগুলোতে বিশেষ নজরদারি চালানোর জন্য মেটাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের পথে থাকা বাংলাদেশে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোকে সহিংসতা ছড়িয়ে দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা বাস্তব জীবনে সহিংসতার রূপ নিচ্ছে। এর ফলে উত্তেজনা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তি ফেসবুকে ওসমান হাদির মৃত্যুকে সমর্থন করেছেন। অন্যরা গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার আহ্বান জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। এসব মন্তব্যের পর প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর গুরুতর হুমকি সৃষ্টি হয়। সরকার ও নাগরিক সমাজের অনুরোধ সত্ত্বেও, সহিংসতা উসকে দেওয়া অ্যাকাউন্টগুলো নিষ্ক্রিয় করতে মেটা সহযোগিতা করেনি বলেও চিঠিতে অভিযোগ করা হয়। আরও বলা হয়, ফেসবুকের মাধ্যমে সহিংসতা উসকে দেওয়া কনটেন্টগুলো নাগরিকদের জীবন, গণতান্ত্রিক অধিকার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও দেশের স্থিতিশীলতার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায়, মেটাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ সংক্রান্ত কনটেন্টের জন্য কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড আরও কঠোর, দ্রুত ও পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রাসঙ্গিকভাবে প্রয়োগ করা, বাংলা ভাষাভিত্তিক কনটেন্টের মডারেশন জোরদার করা, আবেগ বিশ্লেষণ ও প্রাসঙ্গিক পর্যালোচনাকে শক্তিশালী করা এবং সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন বা সংগঠিত ক্ষতির আহ্বান করা কনটেন্টের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ ও ই-মেইলে সন্ত্রাস ও সহিংসতার আহ্বান বিষয়ক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের রিপোর্ট আহ্বান জানিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ ও ই-মেইলে অভিযোগ আসার পর, জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি সেগুলো যাচাই-বাছাই করে বিটিআরসির মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মগুলোতে রিপোর্ট করবে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানায়, সরকার সোশ্যাল মিডিয়ার কোনো পোস্ট ডাউনলোড করতে পারে না। তবে, সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত পোস্টগুলো যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মে রিপোর্ট করা সম্ভব। রিপোর্ট পাঠানোর জন্য নম্বর ও ইমেইল হলো: হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ০১৩০৮৩৩২৫৯২, ই-মেইল [email protected]। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হেট স্পিচ, যা সরাসরি সহিংসতা ঘটায় বা সহিংসতার প্ররোচনা দেয়, তা জাতীয় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই এজেন্সি সবাইকে অনুরোধ করছে, সোশ্যাল মিডিয়াকে সহিংসতা বা ভয়ভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য টুল হিসেবে ব্যবহার না করতে এবং দেশের, নাগরিকের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সচেতন থাকতে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

উসকানিমূলক কনটেন্ট নিয়ে মেটাকে সরকারের চিঠি

আপডেট সময় ৩ ঘন্টা আগে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহিংসতা উসকে দিয়ে নির্বাচন বানচালের পরিকল্পনা এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলার উসকানি দেওয়া কনটেন্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে মেটাকে চিঠি পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি এই চিঠি পাঠায়। একই সঙ্গে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট পর্যন্ত বাংলাদেশ বিষয়ক কনটেন্টগুলোতে বিশেষ নজরদারি চালানোর জন্য মেটাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের পথে থাকা বাংলাদেশে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোকে সহিংসতা ছড়িয়ে দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা বাস্তব জীবনে সহিংসতার রূপ নিচ্ছে। এর ফলে উত্তেজনা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তি ফেসবুকে ওসমান হাদির মৃত্যুকে সমর্থন করেছেন। অন্যরা গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার আহ্বান জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। এসব মন্তব্যের পর প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর গুরুতর হুমকি সৃষ্টি হয়। সরকার ও নাগরিক সমাজের অনুরোধ সত্ত্বেও, সহিংসতা উসকে দেওয়া অ্যাকাউন্টগুলো নিষ্ক্রিয় করতে মেটা সহযোগিতা করেনি বলেও চিঠিতে অভিযোগ করা হয়। আরও বলা হয়, ফেসবুকের মাধ্যমে সহিংসতা উসকে দেওয়া কনটেন্টগুলো নাগরিকদের জীবন, গণতান্ত্রিক অধিকার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও দেশের স্থিতিশীলতার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায়, মেটাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ সংক্রান্ত কনটেন্টের জন্য কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড আরও কঠোর, দ্রুত ও পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রাসঙ্গিকভাবে প্রয়োগ করা, বাংলা ভাষাভিত্তিক কনটেন্টের মডারেশন জোরদার করা, আবেগ বিশ্লেষণ ও প্রাসঙ্গিক পর্যালোচনাকে শক্তিশালী করা এবং সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন বা সংগঠিত ক্ষতির আহ্বান করা কনটেন্টের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ ও ই-মেইলে সন্ত্রাস ও সহিংসতার আহ্বান বিষয়ক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের রিপোর্ট আহ্বান জানিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ ও ই-মেইলে অভিযোগ আসার পর, জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি সেগুলো যাচাই-বাছাই করে বিটিআরসির মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মগুলোতে রিপোর্ট করবে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানায়, সরকার সোশ্যাল মিডিয়ার কোনো পোস্ট ডাউনলোড করতে পারে না। তবে, সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত পোস্টগুলো যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মে রিপোর্ট করা সম্ভব। রিপোর্ট পাঠানোর জন্য নম্বর ও ইমেইল হলো: হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ০১৩০৮৩৩২৫৯২, ই-মেইল [email protected]। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হেট স্পিচ, যা সরাসরি সহিংসতা ঘটায় বা সহিংসতার প্ররোচনা দেয়, তা জাতীয় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই এজেন্সি সবাইকে অনুরোধ করছে, সোশ্যাল মিডিয়াকে সহিংসতা বা ভয়ভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য টুল হিসেবে ব্যবহার না করতে এবং দেশের, নাগরিকের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সচেতন থাকতে।


প্রিন্ট