, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নওগাঁর মহাদেবপুরে শিশু শিক্ষার্থী নাতনিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দাদা গ্রেফতার Logo শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়া করতে ৩৬ দিন লেগেছে আপনাদের সরাতে ৩৬ মিনিট ও লাগবেনা – মানববন্ধনে বক্তারা Logo নওগাঁর মান্দায় অভিনব কায়দায় কিশোরকে অপহরণের চেষ্টা, আটক ২ Logo নওগাঁয় বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে ৩ তলা থেকে পড়ে এক মিস্ত্রির মৃত্যু Logo নওগাঁয় ধর্ষন ও আইন শৃঙ্খলার অবনতির বিরুদ্ধে শিক্ষাথীদের মানববন্ধন Logo নওগাঁয় মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo নওগাঁয় মধ্যরাতে রাস্তায় গাছ ফেলে ডাকাতি Logo সালাহউদ্দিন ছাড়া সকল উপদেষ্টা অপদার্থ- মিনু Logo নওগাঁয় জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ সমাবেশ Logo সৌদি, ওমান ও কাতার যেতে আগ্রহীদের জন্য সুখবর
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

ঢাবি-সাত কলেজ সংঘর্ষ: পুলিশের ধৈর্য ও দক্ষতায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৬৩ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যকার উত্তপ্ত পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছে পুলিশ। সংঘর্ষের সময় পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বড় দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “রোববার রাতের সংঘর্ষের সময় পুলিশ অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ব্যবহার করা হয়েছে, যা সংঘর্ষকে আরও বড় আকারে ছড়িয়ে পড়া থেকে রক্ষা করেছে। আজকের মধ্যেই পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।”

রোববার সন্ধ্যায় পাঁচ দফা দাবি নিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাবির প্রো-ভিসি অধ্যাপক মামুন আহমেদের সঙ্গে আলোচনায় গেলে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এ ঘটনার জেরে রাত ১১টার পর ঢাকা কলেজ ও ঢাবির শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত এলাকায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছি, যেন পরিস্থিতি শান্ত থাকে এবং উভয়পক্ষ কোনো ক্ষতির সম্মুখীন না হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”

ঘটনাস্থলে উত্তেজনা প্রশমনে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবিও মোতায়েন করা হয়। রাতের সংঘর্ষে তিন শিক্ষার্থী আহত হন বলে জানা গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের চলমান এই উত্তেজনা নিয়ে সচিবালয়ের বৈঠকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব পক্ষকেই ধৈর্য ও সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

ঢাবি-সাত কলেজ সংঘর্ষ: পুলিশের ধৈর্য ও দক্ষতায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে

আপডেট সময় ০৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যকার উত্তপ্ত পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছে পুলিশ। সংঘর্ষের সময় পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বড় দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “রোববার রাতের সংঘর্ষের সময় পুলিশ অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ব্যবহার করা হয়েছে, যা সংঘর্ষকে আরও বড় আকারে ছড়িয়ে পড়া থেকে রক্ষা করেছে। আজকের মধ্যেই পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।”

রোববার সন্ধ্যায় পাঁচ দফা দাবি নিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাবির প্রো-ভিসি অধ্যাপক মামুন আহমেদের সঙ্গে আলোচনায় গেলে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এ ঘটনার জেরে রাত ১১টার পর ঢাকা কলেজ ও ঢাবির শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত এলাকায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছি, যেন পরিস্থিতি শান্ত থাকে এবং উভয়পক্ষ কোনো ক্ষতির সম্মুখীন না হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”

ঘটনাস্থলে উত্তেজনা প্রশমনে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবিও মোতায়েন করা হয়। রাতের সংঘর্ষে তিন শিক্ষার্থী আহত হন বলে জানা গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের চলমান এই উত্তেজনা নিয়ে সচিবালয়ের বৈঠকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব পক্ষকেই ধৈর্য ও সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়।


প্রিন্ট