, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাঁসের কারণে জমি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২৫ জন Logo লক্ষ্মীপুরে ২০০ শিশুর জন্য এল ঈদের আনন্দ, পাচ্ছে বিশেষ উপহার Logo গণহত্যার বিচার যদি বিলম্বিত হয়, তাহলে ফ্যাসিবাদ আবার উত্থান ঘটাতে পারে: আখতার Logo স্বর্ণের দাম আবারও ঊর্ধ্বমুখী, ভরির মূল্য কি এখন Logo ‌খোলা-পিকআপে ২০ কিলোমিটার সড়ক ভাড়া ২০০! Logo দাফনের ৭৫ দিন পর বাড়িতে ফিরে এলো কিশোর Logo ‘ডিসেম্বরের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের সমস্যা হবে সমাধান’ Logo ময়মনসিংহে ঈদের বিশেষ জামাতের সময় ও স্থান জানুন Logo ১৩ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা যুবতীর Logo শিশুর ওপর ধর্ষণের চেষ্টা: অভিযুক্তকে উত্তেজিত জনতার হাতে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

চীনের কাছে নদী ও জল ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ৫০ বছরের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আবেদন

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের নদী ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টার পদে থাকা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীন সরকারের কাছে ৫০ বছরের একটি মাস্টারপ্ল্যানের আবেদন করেছেন। শুক্রবার (২৮ মার্চ) বেইজিংয়ের একটি রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় চীনের পানিসম্পদমন্ত্রী লি গোইয়িংয়ের সাথে বৈঠকের সময় তিনি এই আহ্বান জানান। এটি ছিল ড. ইউনূসের চার দিনের চীন সফরের তৃতীয় দিন। চীনের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, চীন জটিল পানিসম্পদ সমস্যায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে, যা বাংলাদেশের জন্যও প্রযোজ্য। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, চীন তাদের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সাথে ভাগ করবে।

বাংলাদেশের একটি বদ্বীপ অঞ্চল হিসেবে, সেখানে অসংখ্য নদী রয়েছে। পানির গুরুত্ব এবং এর সমস্যার বিষয়ে সাবধান থাকার প্রয়োজন সম্পর্কে তিনি মন্তব্য করেন। প্রধান উপদেষ্টা চীনকে পানি ব্যবস্থাপনায় ‘মাস্টার’ হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশকে এ ক্ষেত্রে অনেক কিছু শিখতে হবে। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পানি ব্যবস্থাপনা দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশের সাথে ভাগাভাগির আহ্বান জানান।

ড. ইউনূস নদী দখলের সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং ভারতের উজানেও একই চাহিদার বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে জানান। নদীর মাঝে চর উঠা এবং পলি জমার কারণে নদীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে, যা তাদের অস্তিত্বের জন্য বিপদ সৃষ্টি করছে। চীনা মন্ত্রী এসময় স্বীকার করেন যে, বাংলাদেশ ও চীন উভয়েই পানির ব্যবস্থাপনা নিয়ে একই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। তিনি বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও অভিজ্ঞতার বিনিময়ের প্রস্তাব দেন।

মন্ত্রী জানান, চীনের প্রেসিডেন্ট শি একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুত করেছেন যা দেশটির পানি ব্যবস্থাপনা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করছে। প্রধান উপদেষ্টা চীনা মন্ত্রীকে বলেন, আমাদেরও একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য দরকার। বিশেষত তিস্তা নদীর ব্যবস্থাপনা এবং ঢাকার পাশে অবস্থিত নদীগুলোর দূষিত পানি পরিষ্কার করতে চীনের সহযোগিতা তিনি কামনা করেন। সফরের期间, প্রধান উপদেষ্টা চীনের নেতৃবৃন্দ ও বিনিয়োগকারীদের সাথে বৈঠক করে পারস্পরিক সহযোগিতার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

চীনের কাছে নদী ও জল ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ৫০ বছরের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আবেদন

আপডেট সময় ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের নদী ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টার পদে থাকা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীন সরকারের কাছে ৫০ বছরের একটি মাস্টারপ্ল্যানের আবেদন করেছেন। শুক্রবার (২৮ মার্চ) বেইজিংয়ের একটি রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় চীনের পানিসম্পদমন্ত্রী লি গোইয়িংয়ের সাথে বৈঠকের সময় তিনি এই আহ্বান জানান। এটি ছিল ড. ইউনূসের চার দিনের চীন সফরের তৃতীয় দিন। চীনের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, চীন জটিল পানিসম্পদ সমস্যায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে, যা বাংলাদেশের জন্যও প্রযোজ্য। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, চীন তাদের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সাথে ভাগ করবে।

বাংলাদেশের একটি বদ্বীপ অঞ্চল হিসেবে, সেখানে অসংখ্য নদী রয়েছে। পানির গুরুত্ব এবং এর সমস্যার বিষয়ে সাবধান থাকার প্রয়োজন সম্পর্কে তিনি মন্তব্য করেন। প্রধান উপদেষ্টা চীনকে পানি ব্যবস্থাপনায় ‘মাস্টার’ হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশকে এ ক্ষেত্রে অনেক কিছু শিখতে হবে। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পানি ব্যবস্থাপনা দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশের সাথে ভাগাভাগির আহ্বান জানান।

ড. ইউনূস নদী দখলের সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং ভারতের উজানেও একই চাহিদার বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে জানান। নদীর মাঝে চর উঠা এবং পলি জমার কারণে নদীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে, যা তাদের অস্তিত্বের জন্য বিপদ সৃষ্টি করছে। চীনা মন্ত্রী এসময় স্বীকার করেন যে, বাংলাদেশ ও চীন উভয়েই পানির ব্যবস্থাপনা নিয়ে একই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। তিনি বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও অভিজ্ঞতার বিনিময়ের প্রস্তাব দেন।

মন্ত্রী জানান, চীনের প্রেসিডেন্ট শি একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুত করেছেন যা দেশটির পানি ব্যবস্থাপনা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করছে। প্রধান উপদেষ্টা চীনা মন্ত্রীকে বলেন, আমাদেরও একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য দরকার। বিশেষত তিস্তা নদীর ব্যবস্থাপনা এবং ঢাকার পাশে অবস্থিত নদীগুলোর দূষিত পানি পরিষ্কার করতে চীনের সহযোগিতা তিনি কামনা করেন। সফরের期间, প্রধান উপদেষ্টা চীনের নেতৃবৃন্দ ও বিনিয়োগকারীদের সাথে বৈঠক করে পারস্পরিক সহযোগিতার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন।


প্রিন্ট