আজকের তারিখ : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫, ১০:৪৯ পি.এম || প্রকাশকাল : অগাস্ট ৮, ২০২৫, ৫:৪৫ পি.এম
নওগাঁ সীমান্তে বিএসএফের পুশ-ইন, আটক ১৮ জন বাংলাদেশি

নওগাঁর ধামইরহাট ও সাপাহার সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৮ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আটককৃতদের বিজিবি থানায় হস্তান্তর করলে পুলিশ তাদেরকে আদালতে পাঠিয়েছে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার কালুপাড়া সীমান্তের পিলার ২৭১/১-এস এবং সাপাহার উপজেলার বামনপাড়া বিওপির মেইন পিলার ২৪৬/২-এস এর কাছ দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হলে বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে।ধামইরহাটে আটক ব্যক্তিরা হলেন: খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের বাদশা মিয়া (২০), ইমরান গাজী (৩৪), নাজমুল হাসান (২৪); খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার মাধবপুর গ্রামের শিশু মোছা. সুমা মোল্লা (৪), শিশু রায়হান মোল্লা (৪); নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার মোছা. নুপুর খানম (২২), শিশু মোছা. আশিকা খানম (৪), মোছা. মনিরা খাতুন (১৮), মোছা. রাবেয়া শেখ (২৮), বাবু শিকদার (১৭), প্রিয়া শিকদার (২৬), শিশু ফাতেমা শেখ (৭), মোছা. ববিতা শিকদার (৩৫); যশোর জেলার কোতোয়ালি থানার মোছা. দুলি বেগম (৪০)।
সাপাহারে আটক ব্যক্তিরা হলেন নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার উথলী গ্রামের ইমদাদুলের স্ত্রী মোছা. হেনা খাতুন (৩৮); একই উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের বালাম শিকদারের স্ত্রী রূপালী (৩৫), তাদের মেয়ে চাঁদনী (৮) এবং ছেলে রমজান (২ বছর ৬ মাস)।
বিজিবির বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে,
ভোরে ১৪ বিজিবির কালুপাড়া বিওপির টহল দল হাবিলদার রুপম চাকমার নেতৃত্বে একটি টহল দল বাংলাদেশের ৫০ গজ অভ্যন্তরে সাতনাপাড়া আমবাগানে তাদের ঘোরাফেরা করতে দেখে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তারা ভারতের মুম্বাই শহরে যান। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন পুরুষ রাজমিস্ত্রির কাজ এবং সাতজন মহিলা গৃহকর্মীর কাজ করতেন। পরবর্তীতে ভারতীয় পুলিশ (সিআইডি) তাদের আটক করে। পরে ভারতের বালুরঘাট বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের বাংলাদেশে পুশ-ইন করেঅন্যদিকে, সাপাহার সীমান্তে আটক ব্যক্তিরাও কয়েক বছর আগে অবৈধভাবে ভারতের মুম্বাইয়ে গিয়ে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। সম্প্রতি মুম্বাই পুলিশ তাদের আটক করে ‘চেকব্যাক’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের ছত্রাহাটি বিএসএফ ক্যাম্পে পাঠায়। সেখান থেকে ভোরে তাদেরও বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হয়।
সাপাহারের বামনপাড়া বিওপির মেইন পিলার ২৪৬/২-এস থেকে প্রায় ৮০০ গজ ভেতরে রসুলপুর গ্রামের জামে মসজিদের পাশ থেকে বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে।
ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাম জাফর বলেন, বিজিবি দুই শিশুসহ আটক ৪ ব্যক্তিদের থানায় হস্তান্তর করলে তাদের কে
আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আজিজ জানান, আটক ১৪ জনের বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তবে ১৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ ইকবাল হোসেন অসংখ্যবার ফোন দেবার পরেও তিনি ফোন রিসিভ কর না করায় এ বিষয় বিজিবির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।