, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নওগাঁয় ভুয়া পুলিশ চক্রের ৪জন গ্রেপ্তার Logo জামায়াতের আমিরের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ Logo নওগাঁয় ব্যতিক্রমীভাবে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবী সমাবেশ নৌকাবাইচ ও হাঁস খেলা Logo আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা: নওগাঁয় প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্টিত জেলায় এ বছর ৮৮১টি মন্ডপে শারদ উৎসব পালিত হবে Logo নওগাঁয় সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo এ বিজয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর Logo জাবিতে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ করব Logo জাবিতে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ করব Logo এ বিজয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর Logo জাবিতে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ করব
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

পলিথিনের চেয়ে পাটের ব্যাগে বেশি কর্মসংস্থান হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৩ বার পড়া হয়েছে

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, পলিথিনের চেয়ে পাটের ব্যাগ তৈরিতে বেশি কর্মসংস্থান হবে। এতদিন যারা প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরি করত, এখন থেকে তারা পাটের ব্যাগ বানাবে। এতে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ কমবে না, বরং বহুলাংশে বাড়বে। রোববার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ বাজারজাতকরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ বশির উদ্দিন বলেন, প্লাস্টিকের ব্যাগের চেয়ে পাটের ব্যাগ তৈরিতে অনেক বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরির প্রক্রিয়াটি একটি স্বয়ংক্রিয় মেশিন নির্ভর, যেখানে কর্মসংস্থান তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু পাটের ব্যাগ তৈরির প্রক্রিয়াটি হাতে করা হয়, ফলে এখানে বহুগুণ বেশি কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য পাট ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করবে। তিনি আরও বলেন, যেসব শিল্প উদ্যোক্তা পাটের সুতা ও কাপড় তৈরি করবেন এবং তা দিয়ে ব্যাগ বানাবেন, তাদের উৎসাহিত করা উচিত। তিনি চান ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে এ ধরনের হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক, যা একদিকে পরিবেশ রক্ষা করবে, অন্যদিকে দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াবে। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ কয়েক বিলিয়ন ডলারের প্লাস্টিক পণ্য আমদানি করে, অথচ পাটপণ্য রপ্তানি হয় এক বিলিয়ন ডলারেরও কম। আমরা কাঁচা পাট বেশি রপ্তানি করছি, কিন্তু পাটপণ্য কম। স্থানীয় সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার কারণে আমরা পাটের ঐতিহ্য হারিয়েছি। পরিবেশ এবং পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি। ব্যক্তিগতভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, আমরা পাটের ব্যাগ ছাড়া আর কোনো ব্যাগ ব্যবহার করব না। সরকার পাটের ব্যাগের ব্যবহার সহজলভ্য করতে কিছু সময় দেবে, কিন্তু তারপরও যদি কেউ সরকারি আইন না মানে, তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আশা করেন, সবাই মিলে এই উদ্যোগকে সফল করবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরা প্রমুখ।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

পলিথিনের চেয়ে পাটের ব্যাগে বেশি কর্মসংস্থান হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, পলিথিনের চেয়ে পাটের ব্যাগ তৈরিতে বেশি কর্মসংস্থান হবে। এতদিন যারা প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরি করত, এখন থেকে তারা পাটের ব্যাগ বানাবে। এতে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ কমবে না, বরং বহুলাংশে বাড়বে। রোববার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ বাজারজাতকরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ বশির উদ্দিন বলেন, প্লাস্টিকের ব্যাগের চেয়ে পাটের ব্যাগ তৈরিতে অনেক বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরির প্রক্রিয়াটি একটি স্বয়ংক্রিয় মেশিন নির্ভর, যেখানে কর্মসংস্থান তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু পাটের ব্যাগ তৈরির প্রক্রিয়াটি হাতে করা হয়, ফলে এখানে বহুগুণ বেশি কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য পাট ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করবে। তিনি আরও বলেন, যেসব শিল্প উদ্যোক্তা পাটের সুতা ও কাপড় তৈরি করবেন এবং তা দিয়ে ব্যাগ বানাবেন, তাদের উৎসাহিত করা উচিত। তিনি চান ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে এ ধরনের হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক, যা একদিকে পরিবেশ রক্ষা করবে, অন্যদিকে দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াবে। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ কয়েক বিলিয়ন ডলারের প্লাস্টিক পণ্য আমদানি করে, অথচ পাটপণ্য রপ্তানি হয় এক বিলিয়ন ডলারেরও কম। আমরা কাঁচা পাট বেশি রপ্তানি করছি, কিন্তু পাটপণ্য কম। স্থানীয় সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার কারণে আমরা পাটের ঐতিহ্য হারিয়েছি। পরিবেশ এবং পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি। ব্যক্তিগতভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, আমরা পাটের ব্যাগ ছাড়া আর কোনো ব্যাগ ব্যবহার করব না। সরকার পাটের ব্যাগের ব্যবহার সহজলভ্য করতে কিছু সময় দেবে, কিন্তু তারপরও যদি কেউ সরকারি আইন না মানে, তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আশা করেন, সবাই মিলে এই উদ্যোগকে সফল করবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরা প্রমুখ।


প্রিন্ট