, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের গোপন আস্তানার সন্ধান, অস্ত্র উদ্ধার

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার যুবনেশ্বর পাড়া এলাকার গভীর জঙ্গলে একটি অভিযান পরিচালনা করে ইউপিডিএফের একটি গোপন আস্তানা আবিষ্কার করেছে সেনাবাহিনী। সোমবার (৬ অক্টোবর) ভোরে, আনুমানিক ৫টার দিকে, সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টিম এই অভিযান চালায়। সেনাবাহিনী জানায়, অভিযানের সময় ইউপিডিএফের প্রধান গ্রুপ কমান্ডার সুমেন চাকমা সেনা সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এরপর ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ইউপিডিএফের সশস্ত্র সদস্যদের ব্যবহৃত একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুটি রাউন্ড গুলি, ১৫টি ব্যানার, দুটি ওয়াকিটকি চার্জার, দুটি মোবাইল ফোন, ধারালো অস্ত্র এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় ইউপিডিএফ সদস্যরা স্থানীয় নারী-পুরুষ, ছাত্র ও ছাত্রীদের সেনাবাহিনী বিরোধী স্লোগান দিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সাম্প্রতিক এসব ঘটনার পর পরিষ্কার হয়েছে যে, ইউপিডিএফ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে স্থানীয় নারী ও স্কুলগামী শিশুদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত করছে। অন্যদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পালিয়ে যাওয়া ইউপিডিএফের সশস্ত্র সদস্যদের খোঁজে সেনা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং এ অঞ্চলের সকল জাতিগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের গোপন আস্তানার সন্ধান, অস্ত্র উদ্ধার

আপডেট সময় ০৮:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার যুবনেশ্বর পাড়া এলাকার গভীর জঙ্গলে একটি অভিযান পরিচালনা করে ইউপিডিএফের একটি গোপন আস্তানা আবিষ্কার করেছে সেনাবাহিনী। সোমবার (৬ অক্টোবর) ভোরে, আনুমানিক ৫টার দিকে, সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টিম এই অভিযান চালায়। সেনাবাহিনী জানায়, অভিযানের সময় ইউপিডিএফের প্রধান গ্রুপ কমান্ডার সুমেন চাকমা সেনা সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এরপর ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ইউপিডিএফের সশস্ত্র সদস্যদের ব্যবহৃত একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুটি রাউন্ড গুলি, ১৫টি ব্যানার, দুটি ওয়াকিটকি চার্জার, দুটি মোবাইল ফোন, ধারালো অস্ত্র এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় ইউপিডিএফ সদস্যরা স্থানীয় নারী-পুরুষ, ছাত্র ও ছাত্রীদের সেনাবাহিনী বিরোধী স্লোগান দিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সাম্প্রতিক এসব ঘটনার পর পরিষ্কার হয়েছে যে, ইউপিডিএফ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে স্থানীয় নারী ও স্কুলগামী শিশুদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত করছে। অন্যদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পালিয়ে যাওয়া ইউপিডিএফের সশস্ত্র সদস্যদের খোঁজে সেনা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং এ অঞ্চলের সকল জাতিগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।


প্রিন্ট