আওয়ামী লীগ সরকারের প্রাক্তন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর চট্টগ্রামের ছয়টি ফ্ল্যাট এবং আটটি কোম্পানির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (৫ অক্টোবর) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন। দুদক এবং আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ছয়টি ফ্ল্যাট ও আটটি কোম্পানির যন্ত্রাংশ জব্দ করার জন্য দুদকের উপপরিচালক মশিউর রহমান আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত এসব সম্পদ জব্দের নির্দেশ দেন।
২৮ আগস্ট আদালত সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যক্তির ১২০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেয়। ৯ জুলাই সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট ২৬ জনের বিও হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। চলতি বছরের ৯ মার্চ আদালত সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার পরিবারের নামে থাকা ২৩টি কোম্পানির ১০২ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয়। একইসঙ্গে ৯৫৭ বিঘা জমিও জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পূর্বে ৫ মার্চ সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ২৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ ছিল। এসব ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি ২৬ লাখ ৮৩ হাজার ৮৫ টাকার লেনদেনের তথ্য আদালতকে জানিয়েছিল দুদক।
গত বছরের ৭ অক্টোবর সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রী রুকমীলা জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। তখন দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছিল যে, সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। দুদকের তদন্তে জানা গেছে, সাইফুজ্জামান বিদেশে অর্থ পাচার করে নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে যুক্তরাজ্যে ৩৫০টি বাড়ি কিনেছেন। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২২৮টি এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে ৯টি বাড়িও কিনেছেন। এর বাইরে দেশে অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগও রয়েছে।