এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী: জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ. দেভোরে এবং জন এম. মার্টিনিস। রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক সার্কিটে ‘ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং’ এবং ‘এনার্জি কোয়ান্টাইজেশন’-এর গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের জন্য তাদের এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই গবেষণাটি কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যা ভবিষ্যতে কোয়ান্টাম কম্পিউটারসহ আধুনিক প্রযুক্তিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস।

বিজ্ঞানী জন ক্লার্কের জন্ম ১৯৪২ সালে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে। তিনি ১৯৬৮ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। বিজ্ঞানী মিশেল এইচ. দেভোরের জন্ম ১৯৫৩ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে। তিনি ১৯৮২ সালে প্যারিস-সুদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং বর্তমানে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। তৃতীয় নোবেলজয়ী জন এম. মার্টিনিসের জন্ম ১৯৫৮ সালে এবং তিনি ১৯৮৭ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীরা একটি নোবেল মেডেল, একটি সনদপত্র এবং ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা পাবেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি ২০ লাখ টাকার সমান। এই অর্থ তিন বিজয়ীর মধ্যে সমানভাবে বিতরণ করা হবে। পূর্বের মতো, এবারও নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণার আগে কিছু জানানো হয়নি। পুরো প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে নোবেল কমিটি। আগামী ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। প্রতি বছর অক্টোবরের প্রথম সোমবার নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু হয়। নোবেল প্রাইজের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ৬ অক্টোবরে চিকিৎসা, ৭ অক্টোবরে পদার্থবিজ্ঞান, ৮ অক্টোবরে রসায়ন, ৯ অক্টোবরে সাহিত্য, ১০ অক্টোবরে শান্তির নোবেল এবং ১৩ অক্টোবরে অর্থনীতির পুরস্কার বিজয়ীর নাম প্রকাশ করা হবে।