, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

ইউনেস্কোর সভাপতি হলো বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ইউনেস্কোর ৪৩তম সাধারণ সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিহাসময় ঘটনা, কারণ সংস্থাটির সদস্যপদ লাভের ৫৩ বছরের মধ্যে এটাই প্রথমবারের মতো তারা শীর্ষ পদে আসীন হলো। ৭ অক্টোবর প্যারিসে ইউনেস্কোর নির্বাহী বোর্ডের ২২২তম অধিবেশনে ভোটের মাধ্যমে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের প্রার্থী খন্দকার এম. তালহা, যিনি ইউনেস্কোতে স্থায়ী প্রতিনিধি এবং ফ্রান্স, মোনাকো ও আইভরি কোস্টে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, ৩০-২৭ ভোটে জাপানকে পরাজিত করে সভাপতি নির্বাচিত হন। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ, জাপান, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া চারটি দেশ প্রার্থী ছিল, কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসে ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়। ইউনেস্কোর ইতিহাসে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বিশেষ অর্জন। খন্দকার এম. তালহা সামনের সাধারণ সম্মেলনে (এই মাসের শেষে উজবেকিস্তানের সামারকন্দে অনুষ্ঠিত হবে) রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত সিমোনা মিরেলা মিকুলেস্কুর স্থলাভিষিক্ত হবেন। এই ঐতিহাসিক সাফল্যের জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি. আর. আবরার এবং সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী অভিনন্দন জানিয়েছেন। অধ্যাপক ইউনূস এটাকে “বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক” বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, “এটি আমাদের জন্য গর্বের একটি মুহূর্ত।” তিনি সফল প্রচারণার জন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি উপদেষ্টাকে এবং স্থায়ী মিশনের ভূমিকার প্রশংসা করেন। শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি. আর. আবরার মন্তব্য করেন, “এটি ইউনেস্কোর সর্বোচ্চ পদে বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও কলার অবদানকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেবে—এটি একটি বিরল সম্মান।” সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “সাম্প্রতিক ইউনেস্কো অধিবেশনগুলোতে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ ইতিমধ্যে প্রশংসিত হয়েছে। এই নতুন দায়িত্ব আমাদের শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি করবে।” ২০২১ সালে ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করা রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা নির্বাহী বোর্ডের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “এটি আমাদের দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক অর্জন। আমি ইউনেস্কোর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য রক্ষায় সর্বদা সচেষ্ট থাকব।”


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউনেস্কোর সভাপতি হলো বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ ইউনেস্কোর ৪৩তম সাধারণ সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিহাসময় ঘটনা, কারণ সংস্থাটির সদস্যপদ লাভের ৫৩ বছরের মধ্যে এটাই প্রথমবারের মতো তারা শীর্ষ পদে আসীন হলো। ৭ অক্টোবর প্যারিসে ইউনেস্কোর নির্বাহী বোর্ডের ২২২তম অধিবেশনে ভোটের মাধ্যমে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের প্রার্থী খন্দকার এম. তালহা, যিনি ইউনেস্কোতে স্থায়ী প্রতিনিধি এবং ফ্রান্স, মোনাকো ও আইভরি কোস্টে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, ৩০-২৭ ভোটে জাপানকে পরাজিত করে সভাপতি নির্বাচিত হন। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ, জাপান, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া চারটি দেশ প্রার্থী ছিল, কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসে ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়। ইউনেস্কোর ইতিহাসে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বিশেষ অর্জন। খন্দকার এম. তালহা সামনের সাধারণ সম্মেলনে (এই মাসের শেষে উজবেকিস্তানের সামারকন্দে অনুষ্ঠিত হবে) রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত সিমোনা মিরেলা মিকুলেস্কুর স্থলাভিষিক্ত হবেন। এই ঐতিহাসিক সাফল্যের জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি. আর. আবরার এবং সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী অভিনন্দন জানিয়েছেন। অধ্যাপক ইউনূস এটাকে “বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক” বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, “এটি আমাদের জন্য গর্বের একটি মুহূর্ত।” তিনি সফল প্রচারণার জন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি উপদেষ্টাকে এবং স্থায়ী মিশনের ভূমিকার প্রশংসা করেন। শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি. আর. আবরার মন্তব্য করেন, “এটি ইউনেস্কোর সর্বোচ্চ পদে বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও কলার অবদানকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেবে—এটি একটি বিরল সম্মান।” সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “সাম্প্রতিক ইউনেস্কো অধিবেশনগুলোতে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ ইতিমধ্যে প্রশংসিত হয়েছে। এই নতুন দায়িত্ব আমাদের শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি করবে।” ২০২১ সালে ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করা রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা নির্বাহী বোর্ডের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “এটি আমাদের দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক অর্জন। আমি ইউনেস্কোর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য রক্ষায় সর্বদা সচেষ্ট থাকব।”


প্রিন্ট