২০২৫ সালে দেশে এলপিজি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের কারণে কমপক্ষে ৫৮০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহেদ কামাল। শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশে এলপিজি : অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক নীতিমালা সম্মেলনে তিনি এ কথা উল্লেখ করেন। জাহেদ কামাল বলেছিলেন, মোট গ্যাসজনিত অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০টির মতো। এসব দুর্ঘটনায় বিভিন্ন স্থাপনায় আনুমানিক ২০ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উদ্ধার কাজে আমরা প্রায় ৯৫ কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি। তবে এই উদ্ধারকাজে অনেক ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন। সম্প্রতি কেমিক্যাল দুর্ঘটনায় আমাদের তিনজন সহকর্মী শাহাদত বরণ করেছেন, যা আমাদের আরও সতর্ক হওয়ার প্রেরণা দিয়েছে। তিনি বলেন, এলপিজি একটি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন খাত, যার ব্যবহার ভবিষ্যতেও বাড়বে। সুতরাং নিরাপত্তার বিষয়টি এখনই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা জরুরি। যেহেতু ব্যবহারে বৃদ্ধি হবে, দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকবে। তাই প্রথম থেকেই সচেতনতা গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি জানানো হয়, ফায়ার সার্ভিস ইতিমধ্যে স্কুলপড়ুয়া শিশুদের মধ্যে অগ্নিনিরাপত্তা জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে পাঠ্যবইয়ে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।