আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম থাকা সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। সেনা সদর জানিয়েছে, এই আটককৃতদের মধ্যে ১৪ জন বর্তমানে কর্মরত এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত (এলপিআর)। শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মামলার বিষয়ে ব্রিফিং চলাকালে মহাপরিচালক মো. হাকিমুজ্জামান এসব তথ্য তুলে ধরেছেন। গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত এই বাহিনী সদস্যরা হলেন: মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, কর্নেল কে এম আজাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন। মো. হাকিমুজ্জামান জানান, সেনা বাহিনী কারোর বিরুদ্ধে গুমের ওয়ারেন্টের কপি পায়নি। তারা কোনো ওয়ারেন্ট পেপার পাননি। এলপিআর একজন এবং সার্ভিসে থাকা ১৫ জনসহ মোট ১৬ জনকে সেনা হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জন ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে। এই সেনা কর্মকর্তার বক্তব্য, মেজর জেনারেল কবীর আত্মগোপনে চলে গেছেন। তাঁর বিদেশে চলে যাওয়া রোধে সক্রিয়তা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ওয়ারেন্টভুক্তদের ২২ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশ রয়েছে, তবে আইনি দিক থেকে এই ওয়ারেন্টের ব্যাখ্যা প্রয়োজন। তাই ২২ অক্টোবর তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজিরের সিদ্ধান্ত আইনের ব্যাখ্যার উপর নির্ভর করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আরও তিনি উল্লেখ করেন, গুমের শিকার পরিবারের প্রতি সেনাবাহিনী সহানুভূতিশীল। সকল অপরাধের বিচার নিশ্চিত করতে সেনা দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়ে বিচার বিভাগ ও গুম কমিশনকে সহায়তা করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক ও বর্তমান ২৪ জন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারের জন্য পরোয়ানা জারি করেছে। গত বুধবার (৮ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল এ নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ২১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করে ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।