, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

জাতিসংঘকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে : ড. ইউনূস

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১৯ ঘন্টা আগে
  • / ৪ বার পড়া হয়েছে

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস উল্লেখ করেছেন, শান্তি ও বহুপাক্ষিকতার আকাঙ্ক্ষা প্রাণবন্ত রাখতে জাতিসংঘকে ধারাবাহিকভাবে উন্নত ও সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অগ্রসর হতে হবে। ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ দিবসের উপলক্ষে তিনি এক বাণীতে এ কথা বলেন। এই বছর জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠার ৮০তম বার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। ড. ইউনূস বলেছেন, “যদি জাতিসংঘ আমাদের সকলের শান্তি ও বহু-পাক্ষিক সহযোগিতার আকাঙ্ক্ষা পূরণে সদা সচেষ্ট থাকতে চায়, তবে অবশ্যই তা পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে। আমরা চাই, জাতিসংঘ সংস্কার হোক— যাতে এটি আরও গতিশীল, সমন্বিত এবং পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।” তিনি যোগ করেন, “এই গুরুত্বপূর্ণ দিনটিতে আমরা অঙ্গীকার করছি যে, জাতিসংঘের সনদে উল্লেখিত শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল বিশ্ব গড়ার জন্য বাংলাদেশ তার দায়িত্ব অব্যাহত রাখবে।” অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র ও অংশীদারদের, পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলের ‘জাতিসংঘ দিবস’-এর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এ দিনটি হলো ভয় ও অভাবমুক্ত বিশ্ব গড়ার অঙ্গীকারকে নতুন করে স্মরণ করার সুযোগ। একই সঙ্গে, জাতিসংঘের বহুপাক্ষিক সহযোগিতা ও ঐক্যবদ্ধ চেতনা পুনরুজ্জীবিত করার সময়ও এটি।” গত আট দশকে জাতিসংঘ তার কার্যক্রমের পরিধি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে এবং বিশ্বজুড়ে আরও গভীরভাবে সম্পৃক্ততা অর্জন করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “জাতিসংঘ শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায়, মানবাধিকার সুরক্ষায় এবং টেকসই উন্নয়ন ও মানবকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।” অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের পর থেকে বাংলাদেশ সক্রিয়, দায়িত্বশীল ও অবদানশীল সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, “শান্তির সংস্কৃতি প্রচারে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম প্রধান শক্তিশালী শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়েছে এবং নীল হেলমেট পরা দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ অবদানকারী হিসেবে অবস্থান করছে।” “আমাদের অনেক সাহসী শান্তিরক্ষী বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন,” যোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন, বাণিজ্য বা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়—বাংলাদেশসহ বৈশ্বিক দক্ষিণের দেশগুলো নিয়মভিত্তিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থায় বিকশিত হচ্ছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, একতরফা সিদ্ধান্ত ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বৈষম্যমূলক আচরণ বিশ্বে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে, উল্লেখ করেন তিনি। সাম্প্রতিক সংঘাতগুলো বিশ্বকে গভীর অনিশ্চয়তার মুখে ফেলেছে বলে তিনি জানান, “আমাদের বুঝতে হবে এখন বহুপাক্ষিক কূটনীতি কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি। জাতীয়তাবাদ ও মানবিক কষ্টের প্রতি উদাসীনতা মানবতার দীর্ঘ সংগ্রামকে ধ্বংস করছে।” তিনি বলেন, “আজ গোটা বিশ্ব গাজার ভয়াবহ গণহত্যার সরাসরি সম্প্রচার দেখছে।” অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, “আমাদের নিজস্ব অঞ্চলেও রোহিঙ্গাদের অধিকারবঞ্চনা ও নির্যাতনের সাক্ষী হচ্ছি। এটি সাংস্কৃতিক পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতির ফল।对此 আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নতুন মনোযোগের আশায় আছি।”


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

জাতিসংঘকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে : ড. ইউনূস

আপডেট সময় ১৯ ঘন্টা আগে

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস উল্লেখ করেছেন, শান্তি ও বহুপাক্ষিকতার আকাঙ্ক্ষা প্রাণবন্ত রাখতে জাতিসংঘকে ধারাবাহিকভাবে উন্নত ও সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অগ্রসর হতে হবে। ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ দিবসের উপলক্ষে তিনি এক বাণীতে এ কথা বলেন। এই বছর জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠার ৮০তম বার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। ড. ইউনূস বলেছেন, “যদি জাতিসংঘ আমাদের সকলের শান্তি ও বহু-পাক্ষিক সহযোগিতার আকাঙ্ক্ষা পূরণে সদা সচেষ্ট থাকতে চায়, তবে অবশ্যই তা পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে। আমরা চাই, জাতিসংঘ সংস্কার হোক— যাতে এটি আরও গতিশীল, সমন্বিত এবং পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।” তিনি যোগ করেন, “এই গুরুত্বপূর্ণ দিনটিতে আমরা অঙ্গীকার করছি যে, জাতিসংঘের সনদে উল্লেখিত শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল বিশ্ব গড়ার জন্য বাংলাদেশ তার দায়িত্ব অব্যাহত রাখবে।” অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র ও অংশীদারদের, পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলের ‘জাতিসংঘ দিবস’-এর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এ দিনটি হলো ভয় ও অভাবমুক্ত বিশ্ব গড়ার অঙ্গীকারকে নতুন করে স্মরণ করার সুযোগ। একই সঙ্গে, জাতিসংঘের বহুপাক্ষিক সহযোগিতা ও ঐক্যবদ্ধ চেতনা পুনরুজ্জীবিত করার সময়ও এটি।” গত আট দশকে জাতিসংঘ তার কার্যক্রমের পরিধি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে এবং বিশ্বজুড়ে আরও গভীরভাবে সম্পৃক্ততা অর্জন করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “জাতিসংঘ শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায়, মানবাধিকার সুরক্ষায় এবং টেকসই উন্নয়ন ও মানবকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।” অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের পর থেকে বাংলাদেশ সক্রিয়, দায়িত্বশীল ও অবদানশীল সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, “শান্তির সংস্কৃতি প্রচারে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম প্রধান শক্তিশালী শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়েছে এবং নীল হেলমেট পরা দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ অবদানকারী হিসেবে অবস্থান করছে।” “আমাদের অনেক সাহসী শান্তিরক্ষী বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন,” যোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন, বাণিজ্য বা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়—বাংলাদেশসহ বৈশ্বিক দক্ষিণের দেশগুলো নিয়মভিত্তিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থায় বিকশিত হচ্ছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, একতরফা সিদ্ধান্ত ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বৈষম্যমূলক আচরণ বিশ্বে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে, উল্লেখ করেন তিনি। সাম্প্রতিক সংঘাতগুলো বিশ্বকে গভীর অনিশ্চয়তার মুখে ফেলেছে বলে তিনি জানান, “আমাদের বুঝতে হবে এখন বহুপাক্ষিক কূটনীতি কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি। জাতীয়তাবাদ ও মানবিক কষ্টের প্রতি উদাসীনতা মানবতার দীর্ঘ সংগ্রামকে ধ্বংস করছে।” তিনি বলেন, “আজ গোটা বিশ্ব গাজার ভয়াবহ গণহত্যার সরাসরি সম্প্রচার দেখছে।” অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, “আমাদের নিজস্ব অঞ্চলেও রোহিঙ্গাদের অধিকারবঞ্চনা ও নির্যাতনের সাক্ষী হচ্ছি। এটি সাংস্কৃতিক পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতির ফল।对此 আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নতুন মনোযোগের আশায় আছি।”


প্রিন্ট