, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

নতুন পে-স্কেলের অর্থ যোগানের সুসংবাদ পেলেন সরকারি চাকরিজীবীরা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০ ঘন্টা আগে
  • / ৩ বার পড়া হয়েছে

সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৯০ থেকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধির জন্য নতুন বেতন স্কেলের প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে জাতীয় বেতন কমিশন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে এই নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর হতে পারে। কমিশন ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার মান বিবেচনায় বেতন বৃদ্ধির হার একশো শতাংশের কাছাকাছি হতে পারে। যদি বেতন দ্বিগুণ হয়, তবে সরকারের ব্যয়ও দ্বিগুণ হয়ে যাবে, যা সামগ্রিক অর্থনীতির উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি বলেছেন, চলতি সরকারের মেয়াদের মধ্যেই গেজেটের মাধ্যমে এই নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়িত হবে এবং এর জন্য অর্থের বরাদ্দ চলতি অর্থবছর (২০২৫-২৬) এর সংশোধিত বাজেটে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেছিলেন, আগামী মার্চ বা এপ্রিলে নতুন পে-স্কেল কার্যকর করতে চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যে বাজেট সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং সেই সময়েই নতুন পে-স্কেল চালুর বিধান যুক্ত করা হবে।

বেতন দ্বিগুণ হলে সরকারের ব্যয় বাড়লেও অর্থ বিভাগ মনে করে, এই চাপ সামাল দেওয়া সম্ভব। তাদের মতে, বেতন বৃদ্ধি পেলে সরকারি কর্মচারীদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে এবং একইসঙ্গে সরকারের রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পাবে। অতিরিক্ত অর্থের সংস্থান করতে অর্থ বিভাগ দুটি প্রধান উৎসের দিকে নজর দিচ্ছে: – আয়কর সম্প্রসারণ: বর্তমানে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল ৮,২৫০ টাকা, যা নতুন কাঠামোতে ১৬ হাজারের বেশি হতে পারে। এতে করে এতদিন আয়কর থেকে বাইরে থাকা সকলের করের আওতায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে, যা সরকারের জন্য বিশাল পরিমাণ রাজস্ব আয় করবে। – বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি: বেতন কাঠামো পরিবর্তনের ফলে সরকারি বাসাবাড়ির ভাড়ার হার বাড়বে, যা থেকেও সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।

অর্থ বিভাগ মনে করে, এই বেতন বৃদ্ধি শুধু ব্যয় বাড়াবে না, বরং রাজস্ব সংগ্রহের পরিধি বাড়িয়ে সামগ্রিক অর্থনীতিতে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হবে। জাতীয় পে-কমিশনের সভাপতি সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খান বলেছেন, বেতন কমিশন নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এই সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করতে পারবে বলে তারা আশাবাদী। কমিশন ইতিমধ্যে অনলাইনে সাধারণের মতামত ও সুপারিশ যাচাই-বাছাই করছে এবং বিভিন্ন সমিতি বা অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত সংগ্রহ করছে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

নতুন পে-স্কেলের অর্থ যোগানের সুসংবাদ পেলেন সরকারি চাকরিজীবীরা

আপডেট সময় ১০ ঘন্টা আগে

সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৯০ থেকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধির জন্য নতুন বেতন স্কেলের প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে জাতীয় বেতন কমিশন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে এই নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর হতে পারে। কমিশন ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার মান বিবেচনায় বেতন বৃদ্ধির হার একশো শতাংশের কাছাকাছি হতে পারে। যদি বেতন দ্বিগুণ হয়, তবে সরকারের ব্যয়ও দ্বিগুণ হয়ে যাবে, যা সামগ্রিক অর্থনীতির উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি বলেছেন, চলতি সরকারের মেয়াদের মধ্যেই গেজেটের মাধ্যমে এই নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়িত হবে এবং এর জন্য অর্থের বরাদ্দ চলতি অর্থবছর (২০২৫-২৬) এর সংশোধিত বাজেটে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেছিলেন, আগামী মার্চ বা এপ্রিলে নতুন পে-স্কেল কার্যকর করতে চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যে বাজেট সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং সেই সময়েই নতুন পে-স্কেল চালুর বিধান যুক্ত করা হবে।

বেতন দ্বিগুণ হলে সরকারের ব্যয় বাড়লেও অর্থ বিভাগ মনে করে, এই চাপ সামাল দেওয়া সম্ভব। তাদের মতে, বেতন বৃদ্ধি পেলে সরকারি কর্মচারীদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে এবং একইসঙ্গে সরকারের রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পাবে। অতিরিক্ত অর্থের সংস্থান করতে অর্থ বিভাগ দুটি প্রধান উৎসের দিকে নজর দিচ্ছে: – আয়কর সম্প্রসারণ: বর্তমানে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল ৮,২৫০ টাকা, যা নতুন কাঠামোতে ১৬ হাজারের বেশি হতে পারে। এতে করে এতদিন আয়কর থেকে বাইরে থাকা সকলের করের আওতায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে, যা সরকারের জন্য বিশাল পরিমাণ রাজস্ব আয় করবে। – বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি: বেতন কাঠামো পরিবর্তনের ফলে সরকারি বাসাবাড়ির ভাড়ার হার বাড়বে, যা থেকেও সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।

অর্থ বিভাগ মনে করে, এই বেতন বৃদ্ধি শুধু ব্যয় বাড়াবে না, বরং রাজস্ব সংগ্রহের পরিধি বাড়িয়ে সামগ্রিক অর্থনীতিতে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হবে। জাতীয় পে-কমিশনের সভাপতি সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খান বলেছেন, বেতন কমিশন নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এই সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করতে পারবে বলে তারা আশাবাদী। কমিশন ইতিমধ্যে অনলাইনে সাধারণের মতামত ও সুপারিশ যাচাই-বাছাই করছে এবং বিভিন্ন সমিতি বা অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত সংগ্রহ করছে।


প্রিন্ট