বাংলাদেশ রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (ব্রামা)-এর আসন্ন নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ব্যাহত করার জন্য একটি প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই মহলের পেছনে রয়েছেন সংগঠনেরই একজন সদস্য ও সভাপতি নির্বাচনী প্রার্থী, যিনি রাজনৈতিক ও পারিবারিক সম্পর্ক রেখে থাকেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। জানা গেছে, সেই সভাপতি প্রার্থী আবু হাসনাত সৈয়দ ওয়াহিদের বউ ছিলেন আওয়ামী লীগের তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য এ.এফ.এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী এবং তার জামাতা রাজী মোহাম্মদ ফখরুল দুইবারের নির্বাচনে ভোট ছাড়াই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক প্রভাব ও সরকারের ছত্রছায়ায় এ পরিবার দীর্ঘকাল ধরে সুবিধা নিচ্ছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। সৈয়দ ওয়াহিদের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে। সেখানে এক আত্মীয় সাইদুর রহমান, যিনি নিজেকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট মুসলিম পার্টির চেয়ারম্যান এবং ১৫ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়কারী বলে পরিচয় দেন, তার মাধ্যমে বিএনপি কেন্দ্রীয় দপ্তরে একটি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ দাখিল করা হয়। এরপর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে সভাপতি পদপ্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম–এর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও মানহানি করার চেষ্টা চালানো হয়। আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমি ইতোমধ্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় দপ্তরে প্রমাণসহ পাল্টা অভিযোগ দাখিল করেছি। সেখানে সাইদুর রহমান ও আবু হাসনাত সৈয়দ ওয়াহিদের যোগসাজশের বিস্তারিত তথ্য, ব্যাংক লেনদেনের নথি ও অন্যান্য প্রমাণ উপস্থাপন করেছি। সূত্র জানিয়েছে, ঘটনাটি বর্তমানে আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় রয়েছে এবং দলের অভ্যন্তরে তদন্তও শুরু হয়েছে। এছাড়া জানা গেছে, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ব্রামার নির্বাচন পরিস্থিতি প্রভাবশালী মহলের কারণে বন্ধ ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও আদালতের রায়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া আবার শুরু হয়েছে। আনোয়ারুল ইসলাম মনে করেন, এবারের নির্বাচন গণতান্ত্রিক চেতনার পুনর্জাগরণের প্রতীক, তবে কিছু চক্র আবারও পুরনো কৌশলে সেটিকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। নিজের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই বিএনপির আদর্শে রাজনীতি করি। ২০০২ সাল থেকে ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি। আমি নীতি, আদর্শ ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে শিকড় গেড়ে আছে, তারা কখনোই সত্যের বিজয় মানতে পারে না। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি দপ্তর ঘটনাটি গভীরভাবে তদন্ত করছে এবং দোষী প্রমাণিত হলে চক্রান্তে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।