একদিনে একসঙ্গে তিনশো পঁচাশি কৃষিযন্ত্র ট্রাক্টর হস্তান্তর করে গিনেস বিশ্ব রেকর্ডের মালিকানা লাভ করেছে দেশের প্রতিষ্ঠান এসিআই মটরস লিমিটেড। এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণে দেশের অগ্রগতি ও সাফল্যকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরা। সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিনাজপুরের সদরের গোর-এ-শহীদ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। “সোনালীকার বিশ্বজয়” এই শ্লোগানকে কেন্দ্র করে একসঙ্গে ৩৫০টি সোনালীকা ট্রাক্টর কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এই কার্যক্রমের সব তথ্য ও প্রমাণাদি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্ব রেকর্ডের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করে সংস্থাটি। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হলো। কৃষিকে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি মনে করা হয়। তাই দেশের কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকদের উৎসাহিত করতেই এই আয়োজন। বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের কৃষির সক্ষমতা দেখানোই এর অন্যতম লক্ষ্য। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসিআই মটরসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস। উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ট্রাক্টরস লিমিটেডের ডিরেক্টর ও প্রধান নির্বাহী গৌরব সাক্সেনা, এসিআই মটরসের চিফ বিজনেস অফিসার মো. আসিফ উদ্দীন, বিজনেস ডাইরেক্টর আজম আলী, ডেপুটি বিজনেস ডাইরেক্টর খাইরুল আহসান এবং দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম। এ বিষয়ে এসিআই মটরসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ক্ষেত্রে এসিআই দেশের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কৃষকদের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে কৃষকদের মধ্যে উদ্দীপনার অভাব দেখা যায়। কৃষক ও কৃষিকে উৎসাহিত করতে এই ধরনের গিনেস বিশ্ব রেকর্ডের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশের কৃষকরা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অংশ নিতে পারল, তা দেখালো বিশ্ববাসী। কৃষকের জীবনের মান উন্নয়ন ও দেশের কৃষিকে আধুনিকায়নে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে এসিআই। জানা গেছে, এই বছর সোনালীকারের সঙ্গে ১৮ বছরের সফল অংশীদারিত্বের শুভ সূচনা করছে এসিআই। এই বিশ্ব রেকর্ডের অনুষ্ঠানে সোনালীকা ট্রাক্টরের বৃহত্তম লোগো প্রদর্শনী করা হয়। এসিআই মটরসের ডেপুটি বিজনেস ডাইরেক্টর আসিফ ফয়সল রুমি জানান, বাংলাদেশে সোনালীকা ট্রাক্টর ইতোমধ্যে ৩৫ হাজারের বেশি বিক্রি করে দেশের কৃষকদের বিশ্বাস অর্জন করেছে। বর্তমানে দেশের ট্রাক্টর বাজারের অর্ধেকের বেশি শেয়ার রয়েছে এসিআির। এই উদ্যোগ কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে আরও আগ্রহী করে তুলবে। দেশের কৃষিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার করবে এই আয়োজন।