খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে সুখবর দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৯৩
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলেন তামিম ইকবাল
নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া
মসজিদে বিয়ে ও সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া
দেশে বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
ইসরায়েলি হামলার গাজায় নিহত ৭০ হাজারের বেশি
খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে সরকার প্রস্তুত’
- আপডেট সময় ০৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৫ বার পড়া হয়েছে
সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন, যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে কমনওয়েলথ ইলেকটোরাল সাপোর্ট সেকশনের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। দুজনের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন কমনওয়েলথের (ইএসএস) লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ন্যান্সি কানিয়াগো, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কমনওয়েলথের (ইএসএস) এক্সিকিউটিভ অফিসার ম্যাডোনা লিঞ্চ। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনমুখী এবং জোরদার প্রস্তুতিতে রয়েছে। নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এর মধ্যে প্রায় আট লাখ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন, এছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর মোট আট লাখের বেশি সদস্য নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। তিনি জানান, নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ ও মহড়া দেওয়া হবে। অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের জন্য বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। নির্বাচনের সময় প্রতিটি কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগের জন্য পুলিশ সদর দপ্তর ও জেলা পর্যায়ে ‘নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ’ স্থাপন করা হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা (যদি সম্ভব হয়), পুলিশ সদস্যদের জন্য বডি ওর্ণ ক্যামেরা এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবেন। তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমের জন্য সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা থাকবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলকে অনুমতি দেওয়া হবে। শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্সও মোতায়েন করা হবে। কমনওয়েলথের সাথে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্কের কথা তুলে ধরে ন্যান্সি কানিয়াগো বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকেই কমনওয়েলথের সদস্য। তিনি উল্লেখ করেন, কমনওয়েলথের একটি নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল রয়েছে, যদি বাংলাদেশ আমন্ত্রণ জানায়, তারা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অংশ নেবে। উপদেষ্টা জানান, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দীর্ঘদিনের নির্বাচন পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিশেষ করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে কর্মরত আমাদের সদস্যরা বিভিন্ন দেশে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করে এসেছে। তিনি বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় কমনওয়েলথের কাছ থেকে আমাদের বাহিনীর জন্য আর্থিক সহায়তা বেশি প্রয়োজন। কমনওয়েলথ চাইলে তারা সিসিটিভি, বডি ওর্ণ ক্যামেরা ও অন্যান্য নির্বাচন সম্পর্কিত সরঞ্জামাদি দিতে পারে। প্রতিনিধি জানান, তারা পুলিশ সদস্যদের মানবাধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণে সহায়তা করতে পারে। ন্যান্সি কানিয়াগো জানতে চান, নির্বাচন উপলক্ষে নতুন নিয়োগ সম্পর্কে, উপদেষ্টা জানান, নির্বাচনের নিরাপত্তার জন্য নতুন করে ১০ হাজার ২৬৪ জন পুলিশ, ২ হাজার ১৪৫ জন আনসার ও ভিডিপি, ৫ হাজার ৫১৩ জন বিজিবি এবং ৬৩৪ জন কোস্টগার্ড নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞেস করলে, জুলাই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবির বিষয়ে, উপদেষ্টা জানান, আইন মন্ত্রণালয় চাইলে এ ব্যাপারে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারে। তবে, জুলাই হত্যাকাণ্ডে বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও কাজ করছে।
প্রিন্ট














