নিবন্ধিত দলগুলো যদি জোট করে তবে নিজের দলের প্রতীকে ভোট দেওয়ার বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে সরকার। সোমবার (৩ নভেম্বর) এই অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ করে আইন মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে এ তথ্য জানা যায়। ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। তারপর বিএনপি আপত্তি জানিয়েছে জোটের প্রতীকের সংশ্লিষ্ট ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে, তবে জামায়াত ও এনসিপি সংশোধন বহাল রাখার পক্ষে সওয়াল করে। অবশেষে, জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট দেওয়ার বিধান রেখে এই অধ্যাদেশ জারি হয়। এই পরিবর্তনের ফলে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে একাধিক নিবন্ধিত দল জোট করলেও, জোটের মনোনীত প্রার্থী বড় দলের বা অন্য দলের প্রতীকে ভোট দিতে পারবে না, নিজের দলের প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য। নির্বাচনকে সামনে রেখে আরপিওতে বিভিন্ন সংশোধন আনা হয়েছে। এই সংশোধনের কারণে নির্বাচন কমিশন দ্রুত দল ও প্রার্থী আচরণ বিধিমালা জারির পরিকল্পনা করছে।
সংবিধানের আওতায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল আইনের মধ্যে মূল আইনটির নাম গণপ্রতিনিধিত্ব আইন বা রেপ্রেজেন্টেশন অফ দ্য পিপল অর্ডার, সংক্ষেপে আরপিও।
১৯৭২ সালে স্বাধীন দেশের সংবিধান রচনার পর প্রথমবারের মতো এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে একাধিক সংশোধনী আনা হয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে সংসদে পাস হয় গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন ২০২৩। দেশের নাগরিকের ভোটাধিকার ও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের বিষয়গুলোও এই আইনে উল্লেখিত। কীভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে, সেটাও এতে বলা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরিকল্পনা। এই লক্ষ্যে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন।