, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের সুযোগ নেই, ফিরলো ‌‘না ভোট’

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৩ বার পড়া হয়েছে

২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা ভোটে ১৫৪ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন, এ ধরনের নির্বাচন এড়ানোর জন্য নতুন বিধান প্রণয়ন করা হলো। অর্থাৎ, যেখানে একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, সেখানে ভোটাররা ‘না’ ভোট দিতে পারবেন। ‘না’ ভোটের সংখ্যাটা যদি বেশি হয়, তবে সেই এলাকায় পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তদ্ব্যতীত, যদি কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র বাতিলের জন্য আপিল করেন, তবে আপিলের নির্ধারিত সময় বা আপিলের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী বলে ঘোষণা দেওয়া যাবে না। এই বিধানসহ ‘গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে এই অধ্যাদেশ প্রকাশিত হয়। রাষ্ট্রপতি এই অধ্যাদেশ স্বাক্ষর করেছেন। এর আগে, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নতুন সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, যাচাই-বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর যদি কোনও নির্বাচনী এলাকায় কেবল একজন প্রার্থী থাকেন, তবে নির্বাচনের ফলাফল ওই প্রার্থী এবং ‘না ভোট’-এর মধ্যে নির্ধারিত হবে। যদি প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ‘না ভোট’-এর চেয়ে বেশি হয়, তবে রিটার্নিং অফিসার তাকে বিজয়ী ঘোষণা করবেন। আবারও, ‘না ভোট’ যদি অধিক হয়, তবে সেই এলাকায় পুনরায় নির্বাচন হবে। আরও জানানো হয়েছে, প্রথম নির্বাচনে যদি ‘না ভোট’ বেশি হয় এবং পরবর্তী নির্বাচনে আবারও একজন প্রার্থী বৈধভাবে মনোনীত হন, তবে রিটার্নিং অফিসার তাকে বিজয়ী ঘোষণা করবেন। তবে, যদি কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র বাতিলের জন্য আপিল করেন, তবে আপিলের সময় বা সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী বলে ঘোষণা দেওয়া যাবে না। এই সংশোধনী ভোটারদের মতামতের মূল্য আরও বৃদ্ধি করেছে এবং ‘না ভোট’ ব্যবস্থাকে সরকারি রূপ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের সুযোগ নেই, ফিরলো ‌‘না ভোট’

আপডেট সময় ১২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা ভোটে ১৫৪ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন, এ ধরনের নির্বাচন এড়ানোর জন্য নতুন বিধান প্রণয়ন করা হলো। অর্থাৎ, যেখানে একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, সেখানে ভোটাররা ‘না’ ভোট দিতে পারবেন। ‘না’ ভোটের সংখ্যাটা যদি বেশি হয়, তবে সেই এলাকায় পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তদ্ব্যতীত, যদি কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র বাতিলের জন্য আপিল করেন, তবে আপিলের নির্ধারিত সময় বা আপিলের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী বলে ঘোষণা দেওয়া যাবে না। এই বিধানসহ ‘গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে এই অধ্যাদেশ প্রকাশিত হয়। রাষ্ট্রপতি এই অধ্যাদেশ স্বাক্ষর করেছেন। এর আগে, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নতুন সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, যাচাই-বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর যদি কোনও নির্বাচনী এলাকায় কেবল একজন প্রার্থী থাকেন, তবে নির্বাচনের ফলাফল ওই প্রার্থী এবং ‘না ভোট’-এর মধ্যে নির্ধারিত হবে। যদি প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ‘না ভোট’-এর চেয়ে বেশি হয়, তবে রিটার্নিং অফিসার তাকে বিজয়ী ঘোষণা করবেন। আবারও, ‘না ভোট’ যদি অধিক হয়, তবে সেই এলাকায় পুনরায় নির্বাচন হবে। আরও জানানো হয়েছে, প্রথম নির্বাচনে যদি ‘না ভোট’ বেশি হয় এবং পরবর্তী নির্বাচনে আবারও একজন প্রার্থী বৈধভাবে মনোনীত হন, তবে রিটার্নিং অফিসার তাকে বিজয়ী ঘোষণা করবেন। তবে, যদি কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র বাতিলের জন্য আপিল করেন, তবে আপিলের সময় বা সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী বলে ঘোষণা দেওয়া যাবে না। এই সংশোধনী ভোটারদের মতামতের মূল্য আরও বৃদ্ধি করেছে এবং ‘না ভোট’ ব্যবস্থাকে সরকারি রূপ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।


প্রিন্ট