বড়পুকুরিয়ায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া
ফুলবাড়ীতে শিশু পার্ক উদ্বোধন
আমি চাই ও আমার হাত ছেড়ে দিক
চীনের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের
টিকটকে উসকানিমূলক ভিডিও, আ.লীগ নেত্রী সুলতানা আটক
শুরু হলো মহান বিজয়ের মাস
সেন্টমার্টিনে আজ থেকে রাতযাপনের সুযোগ, মানতে হবে যেসব শর্ত
বাবা-ভাইদের হাতে প্রেমিকের মৃত্যু, মরদেহকেই ‘বিয়ে’ তরুণীর
পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ
নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে ফের জটিলতা
জলবায়ু অর্থায়নের ৮৯১ প্রকল্পে ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি : টিআইবি
- আপডেট সময় ০১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়নের জন্য নির্ধারিত জাতীয় তহবিলের (বিসিসিটি) মোট বরাদ্দের মধ্যে ৫৪ শতাংশের বেশি দুর্নীতির শিকার হয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশنال বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলছে, ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ৮৯১টি প্রকল্পে সংঘটিত দুর্নীতির মোট পরিমাণ প্রায় ২৪৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ হাজার ১১১ কোটি টাকা। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের পথ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিসিসিটি থেকে মোট ৪৫৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ অনুমোদিত হয়। এর মধ্যে ৫৪ শতাংশের বেশি বরাদ্দ দুর্নীতির শিকার হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রাস্টি বোর্ড ও কারিগরি কমিটির সদস্যদের যোগসাজশ ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে প্রকল্প অনুমোদনের প্রবণতা দেখা গেছে। অথচ, এই তহবিলের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মকর্তাদের এসব অনিয়ম রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রতি বছর প্রয়োজন ১২ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তহবিলসহ মোট বরাদ্দ বছরে গড়ে মাত্র ৮৬ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, যা প্রয়োজনের মাত্র ০.৭ শতাংশ। জাতীয় তহবিলের বরাদ্দ প্রতি বছর গড়হারে ৮ দশমিক ২ শতাংশ হারে কমছে, যেখানে আন্তর্জাতিক তহবিলের বরাদ্দ ৪৩ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, এই বরাদ্দের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। প্রকল্পের বাস্তবায়নেও দীর্ঘসূত্রতা ও ব্যর্থতা দেখা গেছে। ৮৯১টির মধ্যে ৫৪৯টি (৬১ দশমিক ৬ শতাংশ) প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। গড়ে প্রকল্পের মেয়াদ ৬৪৮ দিন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১ হাজার ৫১৫ দিন। অর্থাৎ, ১৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধির ঘটনা। কিছু কিছু প্রকল্পের মেয়াদ ৪ বছর হওয়ার পরও বাস্তবায়নে লেগেছে ১৪ বছর। একইভাবে, আন্তর্জাতিক তহবিলের প্রকল্পগুলোতেও বিলম্বের চিত্র দেখা গেছে। ৫১টির মধ্যে ২১টির (৪১ দশমিক ২ শতাংশ) মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। গড় মেয়াদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৭৮ দিন, যা ৫২ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি। সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের জন্য প্রতি বছর প্রয়োজন ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু ২০০৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা পেয়েছি মাত্র ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, যা খুবই নগণ্য। তিনি আরও বলেন, দুর্নীতির কারণে জাতীয় তহবিলের ৫৪ শতাংশের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, লুটপাটের শিকার হয়েছে। এই তহবিলের সুবিধা পাওয়ার কথা থাকলেও দুর্নীতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও প্রভাবশালীরা এই অর্থ লুটপাট করেছে। জবাবদিহিতা, সুশাসন, রাজনৈতিক প্রভাব, বাস্তবায়নকারী সংস্থার অদক্ষতা ও অনিয়মের কারণে দুর্নীতি হয়েছে। তিনি একে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
প্রিন্ট


















