, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘অধিকৃত অঞ্চল’ বলার চেষ্টা ভিত্তিহীন: সরকারের বিবৃতি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘পশ্চিম তীর’ বা অন্য কোনো অধিগ্রহণাধীন ভূখণ্ডের সাথে তুলনা করার চেষ্টাকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ পরিচালক ফয়সল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অঙ্গ হিসেবে বিবেচিত এবং এটি সর্বদা বেসামরিক সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়ে আসছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি কেবলমাত্র শান্তি রক্ষা, স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য। এটি কখনোই সামরিক শাসন বা দখলের লক্ষণ নয়। সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামকে কোনো বিদেশি অধিকৃত ভূখণ্ডের সাথে তুলনা করা ভুল তথ্য এবং পার্বত্য জনগোষ্ঠীসহ দেশের সার্বিক জাতিসত্তার প্রতি অসম্মান প্রদর্শন। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ মানবাধিকার রক্ষা ও পার্বত্য অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত নির্যাতনের কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। মন্ত্রণালয় সাংবাদিকদের সতর্ক করে বলেছে, সংবেদনশীল ও জটিল ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদন তৈরির সময় তথ্যের নির্ভুলতা, পেশাদারিত্ব ও সংবেদনশীলতা বজায় রাখা আবশ্যক।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘অধিকৃত অঞ্চল’ বলার চেষ্টা ভিত্তিহীন: সরকারের বিবৃতি

আপডেট সময় ০৬:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘পশ্চিম তীর’ বা অন্য কোনো অধিগ্রহণাধীন ভূখণ্ডের সাথে তুলনা করার চেষ্টাকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ পরিচালক ফয়সল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অঙ্গ হিসেবে বিবেচিত এবং এটি সর্বদা বেসামরিক সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়ে আসছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি কেবলমাত্র শান্তি রক্ষা, স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য। এটি কখনোই সামরিক শাসন বা দখলের লক্ষণ নয়। সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামকে কোনো বিদেশি অধিকৃত ভূখণ্ডের সাথে তুলনা করা ভুল তথ্য এবং পার্বত্য জনগোষ্ঠীসহ দেশের সার্বিক জাতিসত্তার প্রতি অসম্মান প্রদর্শন। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ মানবাধিকার রক্ষা ও পার্বত্য অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত নির্যাতনের কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। মন্ত্রণালয় সাংবাদিকদের সতর্ক করে বলেছে, সংবেদনশীল ও জটিল ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদন তৈরির সময় তথ্যের নির্ভুলতা, পেশাদারিত্ব ও সংবেদনশীলতা বজায় রাখা আবশ্যক।


প্রিন্ট