দেশের জনগণের মতো সেনাবাহিনীও চায় সরকারের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হোক। সরকার সেই পরিকল্পনার সময়সীমা স্পষ্ট করে দিয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের স্থিতিশীলতা আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পথে ফিরবে। তখন সেনাবাহিনী আবার সেনানিবাসে ফিরে যাবে। এই প্রত্যাশার দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স ম্যাসে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সেনাবাহিনী প্রধান, আর্মি সদর দপ্তরের ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের (জিওসি আর্টডক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আপনাদের জানা আছে শান্তির সময়ে সেনাবাহিনীর মূল দায়িত্ব হলো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকা। গত ১৫ মাস আমরা বাইরে ছিলাম। নির্বাচনের পরে হয়তো আরও কিছুদিন থাকতে হবে। এই কারণে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করছে, বাংলাদেশ প্রতিদিন তা আগে দেখেনি।’ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান আরও বলেন, ‘কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সোশ্যাল মিডিয়ায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মিথ্যা, বানোয়াট ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি নিশ্চিত করতে চাই, সেনাবাহিনী প্রধান এবং সিনিয়র নেতাদের প্রতি বাহিনীর প্রত্যেক সদস্য অত্যন্ত আনুগত। সোশ্যাল মিডিয়ার মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিথ্যাকে সত্যের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।’