, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ছে ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নের জন্য কাজ শুরু করেছে নবগঠিত পে কমিশন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা নিজেদের প্রস্তাব কমিশনের কাছে জমা দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সর্বনিম্ন বেতন হবে ৩৫ হাজার টাকা এবং বর্তমান ২০টি গ্রেড কমিয়ে ১২টি গ্রেডে নামানো হবে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র আব্দুল মালেক জানান, শেষবার পে স্কেল দেওয়া হয়েছিল ২০১৫ সালে। নিয়ম অনুযায়ী ২০২০ সালে নতুন স্কেলে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি। এর ফলে সরকারি কর্মচারীরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, যদি নিয়মিত পে স্কেল হতো, তাহলে ২০২০ সালে বেতন দ্বিগুণ হতো এবং ২০২৫ সালে প্রায় ৩৩ হাজার টাকা হত। তাই এ বার বেতন কাঠামোতে সমন্বয় আনা জরুরি। অন্যদিকে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার জানান, নতুন পে স্কেলের প্রস্তাব আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারের কাছে জমা দেওয়া হতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের ধারণা, এতে বেতন ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। কিছু ক্ষেত্রে তা ১০০ শতাংশও হতে পারে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বেতন-ভাতা দ্বিগুণ হলে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা। গড়ে ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি হলে এই ব্যয় দাঁড়াবে ৭০-৭৫ হাজার কোটি টাকা, আর ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি হলে হবে ৬৫-৭০ হাজার কোটি টাকা। নতুন পে স্কেলে শুধু বেতন নয়, ভাতা কাঠামোতেও বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। এর লক্ষ্য মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় জীবনমান উন্নয়ন এবং সরকারি কর্মচারীদের ক্রয়ক্ষমতা পুনরুদ্ধার।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ছে ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ

আপডেট সময় ১২:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নের জন্য কাজ শুরু করেছে নবগঠিত পে কমিশন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা নিজেদের প্রস্তাব কমিশনের কাছে জমা দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সর্বনিম্ন বেতন হবে ৩৫ হাজার টাকা এবং বর্তমান ২০টি গ্রেড কমিয়ে ১২টি গ্রেডে নামানো হবে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র আব্দুল মালেক জানান, শেষবার পে স্কেল দেওয়া হয়েছিল ২০১৫ সালে। নিয়ম অনুযায়ী ২০২০ সালে নতুন স্কেলে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি। এর ফলে সরকারি কর্মচারীরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, যদি নিয়মিত পে স্কেল হতো, তাহলে ২০২০ সালে বেতন দ্বিগুণ হতো এবং ২০২৫ সালে প্রায় ৩৩ হাজার টাকা হত। তাই এ বার বেতন কাঠামোতে সমন্বয় আনা জরুরি। অন্যদিকে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার জানান, নতুন পে স্কেলের প্রস্তাব আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারের কাছে জমা দেওয়া হতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের ধারণা, এতে বেতন ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। কিছু ক্ষেত্রে তা ১০০ শতাংশও হতে পারে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বেতন-ভাতা দ্বিগুণ হলে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা। গড়ে ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি হলে এই ব্যয় দাঁড়াবে ৭০-৭৫ হাজার কোটি টাকা, আর ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি হলে হবে ৬৫-৭০ হাজার কোটি টাকা। নতুন পে স্কেলে শুধু বেতন নয়, ভাতা কাঠামোতেও বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। এর লক্ষ্য মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় জীবনমান উন্নয়ন এবং সরকারি কর্মচারীদের ক্রয়ক্ষমতা পুনরুদ্ধার।


প্রিন্ট