অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান উল্লেখ করেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্রের অস্তিত্ব সংকটাপন্ন। এটি অনেকটা জমিদারের ভগ্নপ্রায় বাড়ির মতো। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আপিলের শুনানি চলাকালে তিনি এ কথাগুলো বলেন। তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের শক্তিশালী ভিত্তির জন্য সংবিধানে যে কোনও ধরণের পরিবর্তন বা পদক্ষেপ নেওয়া হলে সেটি মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের পেছনে যে যুক্তিগুলো দেওয়া হয়েছিল, আপিল বিভাগ সেগুলোর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভ্রান্তপ্রসূত বলে মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে, বুধবারের প্রথম দিনের শুনানিতে তিনি বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাতিলের ফলে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রের ভিত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও বিদ্বেষের কারণে আওয়ামী লীগের সুবিধা দেওয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। আবারও গণতন্ত্রের স্বার্থে দেশের পুনরায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ফিরে যাওয়াই উপযুক্ত বলে আপিল বিভাগকে অনুরোধ জানান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তারা। বিএনপি, জামায়াত ও সুজনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সংগঠনের পক্ষে আইনজীবীরাও পূর্বে তাদের আইনি যুক্তি উপস্থাপন করেন, যাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে উৎসাহ দেওয়া হয়।