, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ভারতের নতুন সেনা ঘাঁটি স্থাপন

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

ভারতীয় সেনাবাহিনী ধুবরি সীমান্ত শহরে একটি নতুন সেনা ঘাঁটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে। এটি বাংলাদেশের সীমান্তের সবচেয়ে নিকটস্থ সামরিক কেন্দ্র এবং গুয়াহাটির পরে পশ্চিম আসামের প্রথম সামরিক স্টেশন। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারি ‘লাচিত বরফুকন মিলিটারি স্টেশন’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই স্থাপনাটি ঐতিহাসিক আহোম বীর সেনাপতি লাচিত বরফুকনের স্মরণে নির্মিত, যিনি মোগল বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের জন্য পরিচিত। ধুবরির এই নতুন ঘাঁটি তেজপুর ভিত্তিক চতুর্থ কোরের আওতায় থাকবে এবং বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি সরকারি মালিকানাধীন বামুনি পার্ট ১ ও পার্ট ২ গ্রামের জমিতে নির্মিত হচ্ছে। এই জমি আগে প্রায় ৪০টি পরিবারের দখলে ছিল, যাদের উচ্ছেদ করা হয়। প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম রাওয়াত জানান, এই নতুন ঘাঁটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা ও অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে। অন্যদিকে, সেনাপ্রধান তাঁর সফরে সীমান্তের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন। সূত্র জানিয়েছে, ধুবরিতে এই ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা শুরু হয় আসাম মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার উদ্যোগে। গত জুনে ঈদের পর ধুবরিতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও নিরাপত্তা উদ্বেগ বৃদ্ধি পাওয়ার পর দ্রুত এই স্থায়ী সামরিক ঘাঁটির প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়। আরও জানা যায়, এই ঘাঁটি নজরদারি, গোয়েন্দা কার্যক্রম ও সংকেত পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কৌশলগত কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। এতে প্রায় দেড় হাজার সৈন্য থাকবেন, যার মধ্যে একটি বিশেষ প্যারাসুপার স্পেশাল ফোর্সের ইউনিটও থাকবে, যারা দ্রুত প্রতিক্রিয়া ও ট্যাকটিক্যাল অপারেশনের জন্য প্রস্তুত। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সীমান্তবর্তী এলাকায় ঘন ঘন সফর করেছেন। সর্বশেষ সফরটি ১০ থেকে ১২ দিন আগে হয়েছিল, যা সম্ভবত নতুন ভারতীয় ঘাঁটির অবস্থান পর্যবেক্ষণের জন্য। ভারতের সাবেক পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রানা প্রতাপ কলিতা (অব.) বলেন, “গুয়াহাটি, রাঙ্গিয়া ও তামুলপুরের পরে পশ্চিম আসামে আর কোনো সেনা ঘাঁটি নেই। ধুবরিতে স্থায়ী ঘাঁটি হলে সীমান্তে সামরিক প্রস্তুতি ও সরবরাহ আরও সহজ হবে।” বর্তমানে আসামে বাংলাদেশের সীমান্তের সবচেয়ে কাছের সেনা ঘাঁটি রয়েছে সিলচরের মাসিমপুরে, যা সীমান্ত থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে। নতুন লাচিত বরফুকন মিলিটারি স্টেশনটি ধুবরিতে সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় এটি হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে নিকটবর্তী ভারতীয় সামরিক কেন্দ্র। সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ভারতের নতুন সেনা ঘাঁটি স্থাপন

আপডেট সময় ১০:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

ভারতীয় সেনাবাহিনী ধুবরি সীমান্ত শহরে একটি নতুন সেনা ঘাঁটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে। এটি বাংলাদেশের সীমান্তের সবচেয়ে নিকটস্থ সামরিক কেন্দ্র এবং গুয়াহাটির পরে পশ্চিম আসামের প্রথম সামরিক স্টেশন। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারি ‘লাচিত বরফুকন মিলিটারি স্টেশন’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই স্থাপনাটি ঐতিহাসিক আহোম বীর সেনাপতি লাচিত বরফুকনের স্মরণে নির্মিত, যিনি মোগল বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের জন্য পরিচিত। ধুবরির এই নতুন ঘাঁটি তেজপুর ভিত্তিক চতুর্থ কোরের আওতায় থাকবে এবং বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি সরকারি মালিকানাধীন বামুনি পার্ট ১ ও পার্ট ২ গ্রামের জমিতে নির্মিত হচ্ছে। এই জমি আগে প্রায় ৪০টি পরিবারের দখলে ছিল, যাদের উচ্ছেদ করা হয়। প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম রাওয়াত জানান, এই নতুন ঘাঁটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা ও অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে। অন্যদিকে, সেনাপ্রধান তাঁর সফরে সীমান্তের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন। সূত্র জানিয়েছে, ধুবরিতে এই ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা শুরু হয় আসাম মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার উদ্যোগে। গত জুনে ঈদের পর ধুবরিতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও নিরাপত্তা উদ্বেগ বৃদ্ধি পাওয়ার পর দ্রুত এই স্থায়ী সামরিক ঘাঁটির প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়। আরও জানা যায়, এই ঘাঁটি নজরদারি, গোয়েন্দা কার্যক্রম ও সংকেত পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কৌশলগত কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। এতে প্রায় দেড় হাজার সৈন্য থাকবেন, যার মধ্যে একটি বিশেষ প্যারাসুপার স্পেশাল ফোর্সের ইউনিটও থাকবে, যারা দ্রুত প্রতিক্রিয়া ও ট্যাকটিক্যাল অপারেশনের জন্য প্রস্তুত। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সীমান্তবর্তী এলাকায় ঘন ঘন সফর করেছেন। সর্বশেষ সফরটি ১০ থেকে ১২ দিন আগে হয়েছিল, যা সম্ভবত নতুন ভারতীয় ঘাঁটির অবস্থান পর্যবেক্ষণের জন্য। ভারতের সাবেক পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রানা প্রতাপ কলিতা (অব.) বলেন, “গুয়াহাটি, রাঙ্গিয়া ও তামুলপুরের পরে পশ্চিম আসামে আর কোনো সেনা ঘাঁটি নেই। ধুবরিতে স্থায়ী ঘাঁটি হলে সীমান্তে সামরিক প্রস্তুতি ও সরবরাহ আরও সহজ হবে।” বর্তমানে আসামে বাংলাদেশের সীমান্তের সবচেয়ে কাছের সেনা ঘাঁটি রয়েছে সিলচরের মাসিমপুরে, যা সীমান্ত থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে। নতুন লাচিত বরফুকন মিলিটারি স্টেশনটি ধুবরিতে সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় এটি হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে নিকটবর্তী ভারতীয় সামরিক কেন্দ্র। সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া


প্রিন্ট