বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অভিযানে অক্টোবর মাসে দেশের সীমান্ত ও অন্যান্য এলাকায় পরিচালিত অভিযানে মোট ২০৬ কোটি ৪২ লাখ ৬৯ হাজার টাকার বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্য জব্দ করা হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে বিজিবি। এতে উল্লেখ করা হয়, জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে— ৩ কেজি ২৬২.৭৬ গ্রাম স্বর্ণ, ১১ কেজি ৪১০ গ্রাম রুপা, ৩৩,৯১০টি শাড়ি, ১৯,৫৮০টি থ্রিপিস, শার্টপিস, চাদর, কম্বল, ১৬,৯৯১টি তৈরি পোশাক, ৫৬৯ মিটার থান কাপড়, ১,৭১,৯৪৬টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৬,২২৭ পিস ইমিটেশন গহনা, ১৭,৬১,৫২৬টি আতশবাজি, ৬,০৫২ ঘনফুট কাঠ, ৪,৫৮৯ কেজি চা পাতা, ১০,৩৯২ কেজি সুপারি, ৩১,৬৫১ কেজি কয়লা, ৫৩৫ ঘনফুট পাথর, ৩৭,৩৫৫ কেজি সুতা, কারেন্ট, দড়ি জাল, ২৫১টি মোবাইল, ৩১,৬৭৮টি মোবাইল ডিসপ্লে, ৪৮,২৮৬টি চশমা, ৪০,৮২৬ কেজি জিরা, ৯,৯১৪ কেজি চিনি, ২৬,৪৫৮ কেজি পিয়াজ, ৬০১ কেজি রসুন, ৫,৩৭৮ প্যাকেট বিভিন্ন ধরনের বীজ, ৭,৬৯০ কেজি সার, ৫,০২৪ প্যাকেট কীটনাশক, ৩,০০২ লিটার ডিজেল, ১,০৯,৭৩২ পিস চকোলেট, ১,৫০০টি গরু বা মহিষ, ১০টি ট্রাক বা কভার্ড ভ্যান, ২১টি পিকআপ বা মহেন্দ্র, ২টি ট্রাক্টর, ৪টি প্রাইভেটকার বা মাইক্রোবাস, ৯টি ট্রলি, ১৯৭টি নৌকা, ৩২টি সিএনজি বা ইজিবাইক, ৪৯টি মোটরসাইকেল ও ৩০টি বাইসাইকেল বা ভ্যান।

অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে— ৪টি দেশি বা দেশের পিস্তল, ১টি রিভলবার, ৩টি মর্টার সেল, ৬টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৩টি ম্যাগাজিন, ৫৩ রাউন্ড গোলাবারুদ, ২৫০ গ্রাম বিস্ফোরক, ২টি ডেটোনেটর, এবং আরও ৭টি অন্যান্য অস্ত্র।

পাশাপাশি, গত মাসে বিজিবি ব্যাপক পরিমাণ মাদকদ্রব্যও জব্দ করেছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে— ১৩,৮২,৪৬২ পিস ইয়াবা, ৩ কেজি ২০৫ গ্রাম হেরোইন, ৫,৪৬৫ বোতল ফেনসিডিল, ১০,৫৮২ বোতল বিদেশি মদ, ২৫১.৫ লিটার বাংলা মদ, ১,২৬৭ ক্যান বিয়ার, ১,৭৮২ কেজি ২৪০ গ্রাম গাঁজা, ১,৩০,৭৫৯ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৫৫,৯১৭টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট বা ইনজেকশন, ৪,০৮২ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৬,৩০৯টি এ্যানেগ্রা বা সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ১৩০ কেজি ইয়াবা পাউডার এবং ৭,২৭,৭৬৮ পিস বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ও অন্যান্য ট্যাবলেট।

সীমান্তে অভিযানের সময় ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক ও চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৮৪ জন চোরাচালানিকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের জন্য ২১০ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ৩ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আরও জানানো হয়, বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৪৯৩ জন মিয়ানমারের নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।