অন্তর্বর্তী সরকার ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি প্রণয়ন করেছে—‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এবং ‘জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’। রোববার (৯ নভেম্বর) তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, এই দুটি নির্দেশনা দ্বারা প্রতিটি নাগরিক তার ব্যক্তিগত তথ্যের স্বত্বাধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নাগরিকের তথ্য ব্যবহার বা সংরক্ষণ করার আগে তার সম্মতি নেওয়া বাধ্যতামূলক হবে। বিশেষ করে আর্থিক, স্বাস্থ্য, জেনেটিক ও বায়োমেট্রিক তথ্যগুলো অতিরিক্ত সুরক্ষা পাবেন। এই নিয়ম ভঙ্গ করলে জরিমানা, ক্ষতিপূরণ ও শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এ জন্য একটি ক্ষমতাধর জাতীয় কর্তৃপক্ষ গঠনের কথা বলা হয়েছে, যা উপাত্ত সংরক্ষণ, নীতিমালা তৈরি ও অভিযোগ নিষ্পত্তি করবেন। পাশাপাশি, এই কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রীয় সফটওয়্যার ও ডেটাবেজের নিরাপত্তাও দেখবেন। শিশুসহ সব বয়সী ব্যক্তিদের তথ্য ব্যবস্থাপনায় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কোনো শিশুর তথ্য ব্যবহারে অভিভাবকের সম্মতি বাধ্যতামূলক এবং অনলাইন ট্র্যাকিং ও প্রোফাইলভিত্তিক বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, ‘ন্যাশনাল রেসপন্সিবল ডেটা এক্সচেঞ্জ’ নামে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম গঠনের কথা বলা হয়েছে, যেখানে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা অনুমোদিত পদ্ধতিতে নিরাপদে তথ্য বিনিময় করতে পারবে। নাগরিকদের জন্য একক ডিজিটাল পরিচয়ের ব্যবস্থাও আনা হয়েছে, যার মাধ্যমে একক আইডি দিয়ে বিভিন্ন সরকারি সেবা গ্রহণ সম্ভব হবে। সরকারের দাবি, এই উদ্যোগ বিশ্বমানের তথ্য সুরক্ষার মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।