, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

ঈদুল ফিতরে ৫, আজহায় ৬ ও পূজায় ২ দিন ছুটি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

সরকার ২০২৬ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের সভার অনুমোদন লাভ করেছে। রোববার (৯ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই ছুটির তালিকা অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। তালিকা অনুযায়ী, চলমান বছরের মতোই আগামী বছরও পবিত্র ঈদুল ফিতরে পাঁচ দিন, ঈদুল আজহায় ছয় দিন এবং শারদীয় দুর্গাপূজায় দুই দিন ছুটি থাকবে। মোট ছুটি থাকবে ২৮ দিন, যার মধ্যে ১১ দিন সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ও শনিবার। ৬ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই ছুটির তালিকা অনুমোদিত হয়। আগামী বছর সাধারণ ছুটি ১৪ দিন ও নির্বাহী আদেশে ছুটি ১৪ দিন। এর মধ্যে ৭ দিন সাধারণ ছুটির অন্তর্ভুক্ত এবং ৪ দিন নির্বাহী আদেশের। সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে—২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২০ মার্চ জুমাতুল বিদা, ২১ মার্চ ঈদুল ফিতর, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ১ মে মে দিবস, ১ মে বুদ্ধপূর্ণিমা, ২৮ মে ঈদুল আজহা, ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস, ২৬ আগস্ট ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ৪ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমী, ২১ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)। নির্বাহী আদেশে ছুটি: ৪ ফেব্রুয়ারি শবে বরাত, ১৭ মার্চ শবে কদর, ১৯ ও ২০ মার্চ ও ২২ ও ২৩ মার্চ ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে দুদিনসহ মোট চার দিন, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ঈদুল আজহার আগে ২৬ ও ২৭ মে, পরে ২৯ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত তিন দিনসহ মোট পাঁচ দিন, ২৬ জুন আশুরা এবং ২০ অক্টোবর দুর্গাপূজার মহানবমী।
অতিরিক্ত হিসেবে কিছু দিনও নির্ধারিত হয়—যেমন: ১৭ জানুয়ারি শবে মিরাজ, ২৪ মার্চ ঈদুল ফিতরের পরের দিন, ১ জুন ঈদুল আজহার পরের দিন, ১২ আগস্ট আখেরি চাহার সোম্বা এবং ২৪ সেপ্টেম্বর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম। হিন্দু ধর্মের জন্য নির্ধারিত ঐচ্ছিক ছুটিগুলোর মধ্যে রয়েছে—২৩ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা, ১৫ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রি, ৩ মার্চ দোলযাত্রা, ১৭ মার্চ হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, ১০ অক্টোবর মহালয়া, ১৮ ও ১৯ অক্টোবর দুর্গাপূজা (সপ্তমী ও অষ্টমী), ২৬ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ৮ নভেম্বর শ্যামাপূজা। এছাড়াও, বিভিন্ন দিন—১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, ১৮ ফেব্রুয়ারি ভস্ম বুধবার, ২ এপ্রিল পূণ্য বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার, ৪ এপ্রিল পূণ্য শনিবার, ৫ এপ্রিল ইস্টার সানডে এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশুখ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরে)—খ্রিস্টান ধর্মের ঐচ্ছিক ছুটির অন্তর্ভুক্ত।
বৌদ্ধ ধর্মের ঐচ্ছিক ছুটির মধ্যে রয়েছে—১ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা, ১৩ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তি, ৩০ এপ্রিল ও ২ মে বুদ্ধপূর্ণিমা, ২৯ জুলাই আষাঢ়ী পূর্ণিমা, ২৬ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা এবং ২৫ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য নির্ধারিত ছুটিগুলোর মধ্যে রয়েছে—১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সামাজিক উৎসব।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, একজন কর্মচারী বছরে তার ধর্ম অনুযায়ী তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন। প্রত্যেককে বছর শুরুতেই নিজ ধর্ম অনুযায়ী এই তিন দিন অনুমোদন নিয়ে নিতে হবে। সাধারণ, নির্বাহী ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে এই ছুটি ভোগের ব্যবস্থা থাকবে। যে অফিস বা সংস্থা নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী পরিচালিত হয় বা যাদের চাকরি জরুরি, তাদের নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী এ ছুটি ঘোষণা করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ঈদুল ফিতরে ৫, আজহায় ৬ ও পূজায় ২ দিন ছুটি

আপডেট সময় ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

সরকার ২০২৬ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের সভার অনুমোদন লাভ করেছে। রোববার (৯ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই ছুটির তালিকা অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। তালিকা অনুযায়ী, চলমান বছরের মতোই আগামী বছরও পবিত্র ঈদুল ফিতরে পাঁচ দিন, ঈদুল আজহায় ছয় দিন এবং শারদীয় দুর্গাপূজায় দুই দিন ছুটি থাকবে। মোট ছুটি থাকবে ২৮ দিন, যার মধ্যে ১১ দিন সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ও শনিবার। ৬ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই ছুটির তালিকা অনুমোদিত হয়। আগামী বছর সাধারণ ছুটি ১৪ দিন ও নির্বাহী আদেশে ছুটি ১৪ দিন। এর মধ্যে ৭ দিন সাধারণ ছুটির অন্তর্ভুক্ত এবং ৪ দিন নির্বাহী আদেশের। সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে—২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২০ মার্চ জুমাতুল বিদা, ২১ মার্চ ঈদুল ফিতর, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ১ মে মে দিবস, ১ মে বুদ্ধপূর্ণিমা, ২৮ মে ঈদুল আজহা, ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস, ২৬ আগস্ট ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ৪ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমী, ২১ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)। নির্বাহী আদেশে ছুটি: ৪ ফেব্রুয়ারি শবে বরাত, ১৭ মার্চ শবে কদর, ১৯ ও ২০ মার্চ ও ২২ ও ২৩ মার্চ ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে দুদিনসহ মোট চার দিন, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ঈদুল আজহার আগে ২৬ ও ২৭ মে, পরে ২৯ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত তিন দিনসহ মোট পাঁচ দিন, ২৬ জুন আশুরা এবং ২০ অক্টোবর দুর্গাপূজার মহানবমী।
অতিরিক্ত হিসেবে কিছু দিনও নির্ধারিত হয়—যেমন: ১৭ জানুয়ারি শবে মিরাজ, ২৪ মার্চ ঈদুল ফিতরের পরের দিন, ১ জুন ঈদুল আজহার পরের দিন, ১২ আগস্ট আখেরি চাহার সোম্বা এবং ২৪ সেপ্টেম্বর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম। হিন্দু ধর্মের জন্য নির্ধারিত ঐচ্ছিক ছুটিগুলোর মধ্যে রয়েছে—২৩ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা, ১৫ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রি, ৩ মার্চ দোলযাত্রা, ১৭ মার্চ হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, ১০ অক্টোবর মহালয়া, ১৮ ও ১৯ অক্টোবর দুর্গাপূজা (সপ্তমী ও অষ্টমী), ২৬ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ৮ নভেম্বর শ্যামাপূজা। এছাড়াও, বিভিন্ন দিন—১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, ১৮ ফেব্রুয়ারি ভস্ম বুধবার, ২ এপ্রিল পূণ্য বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার, ৪ এপ্রিল পূণ্য শনিবার, ৫ এপ্রিল ইস্টার সানডে এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশুখ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরে)—খ্রিস্টান ধর্মের ঐচ্ছিক ছুটির অন্তর্ভুক্ত।
বৌদ্ধ ধর্মের ঐচ্ছিক ছুটির মধ্যে রয়েছে—১ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা, ১৩ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তি, ৩০ এপ্রিল ও ২ মে বুদ্ধপূর্ণিমা, ২৯ জুলাই আষাঢ়ী পূর্ণিমা, ২৬ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা এবং ২৫ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য নির্ধারিত ছুটিগুলোর মধ্যে রয়েছে—১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সামাজিক উৎসব।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, একজন কর্মচারী বছরে তার ধর্ম অনুযায়ী তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন। প্রত্যেককে বছর শুরুতেই নিজ ধর্ম অনুযায়ী এই তিন দিন অনুমোদন নিয়ে নিতে হবে। সাধারণ, নির্বাহী ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে এই ছুটি ভোগের ব্যবস্থা থাকবে। যে অফিস বা সংস্থা নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী পরিচালিত হয় বা যাদের চাকরি জরুরি, তাদের নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী এ ছুটি ঘোষণা করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে।


প্রিন্ট