, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

বিএনসিসির গুণগত মান ও অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

দেশের যুব প্রজন্মকে নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা এবং জাতীয় উন্নয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) কার্যক্রমের মানোন্নয়ন এবং অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘বিএনসিসির মাধ্যমে জাতীয় রূপান্তর’ শীর্ষক এক প্রদর্শনী পরিদর্শনের পরে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রদর্শনীটি উপস্থাপন করেন বিএনসিসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সঈদ আল মসউদ।

ড. ইউনূস বিএনসিসির দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে বলেন, প্রশিক্ষণের মানোন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎমুখী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ এখন সর্বোপরি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই বিএনসিসির পক্ষে, কিন্তু আমাদের নজর দিতে হবে গুণগত মানের ওপর—বিশ্বাসযোগ্য ও যোগ্য প্রশিক্ষক থাকা জরুরি। এ বিষয়ে আমাদের মনোযোগী হতে হবে এবং ভবিষ্যৎভিত্তিক চিন্তা করতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা আত্মমর্যাদা, শৃঙ্খলা এবং অন্তর্ভুক্তিকে বিএনসিসির মূল মূল্যবোধ হিসেবে গুরুত্ব দেন। তিনি মন্তব্য করেন, ‘বিএনসিসি মানে আত্মমর্যাদা ও শৃঙ্খলা।’

ড. ইউনূস ক্যাডেটদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন। তিনি বলেন, ‘ক্যাডেটদের জন্য এমন একটি সনদপ্রদান ব্যবস্থা থাকতে হবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ চাকরির জন্য সহায়ক হবে। পাশাপাশি, তাদের নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগও তৈরি করতে হবে যেন তারা ভবিষ্যতে আরও উন্নতি করতে পারে।’

তিনি বিএনসিসিতে মহিলাদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন এবং বলেন, ‘বিএনসিসি কেবল ছেলেদের জন্য নয়।’

বিএনসিসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সঈদ আল মসউদ জানান, বর্তমানে বিএনসিসির অধীনে ৫৬১টি স্কুল রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে চার লাখের বেশি দক্ষ ক্যাডেট প্রস্তুত করার লক্ষ্য তাদের। তিনি আরও জানান, বিএনসিসিতে যোগদানের বয়সসীমা ১৭ থেকে ১৮ বছর।

সভায় উপস্থিত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান সম্প্রতি জাতীয় ঘটনাগুলিতে বিএনসিসির ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘জুলাই বিদ্রোহের পর বিএনসিসির ক্যাডেটরা রাস্তায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেছে—এটি ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও সুন্দর উদ্যোগ।’ তিনি যোগ্য প্রশিক্ষক নিয়োগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বিএনসিসির নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সরকার তরুণদের উন্নয়নকে নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা এবং নাগরিক দায়িত্ববোধের মাধ্যমে জাতীয় রূপান্তরের মূলধারায় একীভূত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনসিসির গুণগত মান ও অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

আপডেট সময় ০৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

দেশের যুব প্রজন্মকে নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা এবং জাতীয় উন্নয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) কার্যক্রমের মানোন্নয়ন এবং অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘বিএনসিসির মাধ্যমে জাতীয় রূপান্তর’ শীর্ষক এক প্রদর্শনী পরিদর্শনের পরে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রদর্শনীটি উপস্থাপন করেন বিএনসিসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সঈদ আল মসউদ।

ড. ইউনূস বিএনসিসির দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে বলেন, প্রশিক্ষণের মানোন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎমুখী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ এখন সর্বোপরি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই বিএনসিসির পক্ষে, কিন্তু আমাদের নজর দিতে হবে গুণগত মানের ওপর—বিশ্বাসযোগ্য ও যোগ্য প্রশিক্ষক থাকা জরুরি। এ বিষয়ে আমাদের মনোযোগী হতে হবে এবং ভবিষ্যৎভিত্তিক চিন্তা করতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা আত্মমর্যাদা, শৃঙ্খলা এবং অন্তর্ভুক্তিকে বিএনসিসির মূল মূল্যবোধ হিসেবে গুরুত্ব দেন। তিনি মন্তব্য করেন, ‘বিএনসিসি মানে আত্মমর্যাদা ও শৃঙ্খলা।’

ড. ইউনূস ক্যাডেটদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন। তিনি বলেন, ‘ক্যাডেটদের জন্য এমন একটি সনদপ্রদান ব্যবস্থা থাকতে হবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ চাকরির জন্য সহায়ক হবে। পাশাপাশি, তাদের নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগও তৈরি করতে হবে যেন তারা ভবিষ্যতে আরও উন্নতি করতে পারে।’

তিনি বিএনসিসিতে মহিলাদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন এবং বলেন, ‘বিএনসিসি কেবল ছেলেদের জন্য নয়।’

বিএনসিসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সঈদ আল মসউদ জানান, বর্তমানে বিএনসিসির অধীনে ৫৬১টি স্কুল রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে চার লাখের বেশি দক্ষ ক্যাডেট প্রস্তুত করার লক্ষ্য তাদের। তিনি আরও জানান, বিএনসিসিতে যোগদানের বয়সসীমা ১৭ থেকে ১৮ বছর।

সভায় উপস্থিত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান সম্প্রতি জাতীয় ঘটনাগুলিতে বিএনসিসির ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘জুলাই বিদ্রোহের পর বিএনসিসির ক্যাডেটরা রাস্তায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেছে—এটি ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও সুন্দর উদ্যোগ।’ তিনি যোগ্য প্রশিক্ষক নিয়োগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বিএনসিসির নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সরকার তরুণদের উন্নয়নকে নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা এবং নাগরিক দায়িত্ববোধের মাধ্যমে জাতীয় রূপান্তরের মূলধারায় একীভূত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


প্রিন্ট